সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাবিতে ভর্তি শতাধিক শিক্ষার্থী; চক্র গ্রেফতার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: গত ৩ বছরে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি হয়েছে একশ’রও বেশি শিক্ষার্থী। প্রশ্নফাঁস ও ডিভাইসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এই জালিয়াত চক্র ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।

এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দফতওে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। জালিয়াত চক্রের গ্রেফতারকৃত সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ ও আগের গ্রেফতারকৃতদের মামলা তদন্ত করে এসব তথ্য দিয়েছে সিআইডি।

সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, ১৪ নভেম্বর এ চক্রের হোতা এনামুল হক আকাশকে গাজীপুর ও নাবিদ আনজুম তনয়কে রংপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার ঢাবিতে ভর্তি হওয়া ৭ ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়।

ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়াতির মূল হোতা নাভিদ আনজুম তনয়। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী আকাশ। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে বাইরে থেকে উত্তর বলে দিয়ে এবং পরীক্ষার দিন সকালে কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে আসছিল।

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত আমরা শুধু ঢাবি নয়, ব্যাংক নিয়োগ পরীক্ষা ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাতেও জালিয়াতির তথ্য পেয়েছি। সে বিষয়েও তদন্ত চলছে। প্রশ্ন ফাঁস ও জালিয়াতির মাধ্যমে প্রত্যেকটি ভর্তি পরীক্ষায় ৪ থেকে ৭ লাখ করে টাকার লেনদেন হয়েছে।’


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ