আওয়ার ইসলাম : সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আগামী সপ্তাহে পদত্যাগ করছেন। খবর ডেইলি মেইল-এর। বাবার পদত্যাগের পর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতা গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
বাদশাহ হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমান দায়িত্ব গ্রহণ করলেও ‘হারামাইন শারিফাইন এর জিম্মাদার’ হিসেবে থাকবেন সালমান বিন আব্দুল আজিজ। সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশটির বাদশাহের হাতেই পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীর জিম্মাদারের দায়িত্ব থাকতো। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এই প্রথমবারের মতো বাদশাহের বাইরে কারো হাতে মসজিদ দুটির দায়িত্ব থাকবে।
সূত্র জানায়, শুধু আলঙ্করিকভাবে রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে থাকবেন তিনি। সরকারি সকল দায়িত্ব ক্রাউন প্রিন্সের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সৌদি রাজপরিবারের সূত্রের বরাতে ডেইলি মেইল জানায়, পদত্যাগের পর বাদশাহ সালমানের ভূমিকা অনেকটা ইংল্যান্ডের রাণীর মতো হবে। তিনি শুধুমাত্র ‘পবিত্র স্থানগুলোর তত্ত্বাবধায়ক’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
ডেইলি মেইলকে সৌদি রাজপরিবারের ঘনিষ্ট এক সূত্র জানিয়েছে, ‘যদি অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু না ঘটে তাহলে আগামী সপ্তাহেই ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন বাদশাহ সালমান।’
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (৩২) সাম্প্রতিক সময়ের এক আলোচিত নাম। নভেম্বরের শুরুতে দুর্নীতি দমন অভিযানের নামে তিনি ৪০ জনেরও বেশি প্রিন্স এবং সরকারের মন্ত্রীকে গ্রেফতার করান। সৌদি রাজা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের বয়স এখন ৮১ বছর।
গত জুনে সৌদি আরবের নতুন যুবরাজ হিসেবে ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম ঘোষণা করেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। এর আগে বাদশা সালমানের ভাতিজা মোহাম্মেদ বিন নায়েফ দেশটির যুবরাজ ছিলেন।
২০১৫ সালে বাদশাহ আব্দুল আজিজের মৃত্যুর পর তাকে যুবরাজ হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিলো। তাকেও তৎকালীন যুবরাজ মুকরিন বিন আবদুল আজিজের বদলে মনোনীত করা হয়। নায়েফ দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং রাজনীতি ও নিরাপত্তা বিষয়ক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন।
এরপর তিনি ‘ভিশন ২০৩০’ নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। নতুন ম্যাগাসিটি নিওমের পরিকল্পনাসহ দেশের সামগ্রিক বিভিন্ন বিষয়ের ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন ৩২ বছরের এই যুবরাজ।
আরএম