শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


স্কুল শিক্ষককে গাছে বেঁধে নির্যাতন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ছিনতাই মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করায় যশোরের চৌগাছায় মশিয়ার রহমান নামে এক স্কুলশিক্ষককে সাবেক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে গাছে বেঁধে মারপিট করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার গয়ড়া গ্রামের রেজাউল ইসলামের চায়ের দোকানের পাশে একটি মেহগনি বাগানে এ মারপিটের ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে তারা স্ত্রী রুমা আক্তার ও বৃদ্ধা মা মোমেনা বেগম ঘটনাস্থলে এলে তাদেরও মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ। বর্তমানে তারা সবাই চৌগাছা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আহত শিক্ষক মশিয়ার রহমান উপজেলার ছোট কাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গয়ড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন খানের ছেলে।

মশিয়ার জানান, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে তার ভাতিজা হৃদয়কে গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আতাউল হকের নেতৃত্বে ইন্তাজ আলী, শুকুর আলী, মুন্তাজ আলীসহ ৬/৭ জন পূর্বশত্রুতার জেরে তিলকপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ের কাছে বেদম মারধর করে এক লাখ টাকা ছিনতাই করে নেয়।

আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে চৌগাছা হাসপাতাল এবং পরে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার (মশিয়ার) ভাই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। যার নং ১০ তারিখ ৫/১০/২০১৭। মামলাটি তুলে নেয়ার জন্য আসামিরা হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি ১০ হাজার ৬১৫ টাকা নিয়ে একটি ছাগল কিনতে যাচ্ছিলেন।

সাবেক মেম্বার আতাউল হকের নেতৃত্বে গ্রামের মৃত দুঃখের ছেলে মুন্তাজ আলী, মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে শুকুর আলী, ইসলামের ছেলে মজনু, মংলার ছেলে রোস্তম, মজনুর ছেলে শামীম, শামসুলের ছেলে শামনুর তার পথরোধ করে মামলা তুলে নিতে বলে।

রাজি না হওয়ায় এক পর্যায়ে তারা পাশের একটি মেহগনি গাছে বেঁধে নির্যাতন শুরু করে।

খবর পেয়ে তার স্ত্রী রুমা আক্তার ও ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মা মোমেনা খাতুন এবং গ্রামের আব্দুল জলিল খানের ছেলে ফিরোজ খান এগিয়ে এলে তাদেরও বেদম মারধর করে।

এক পর্যায়ে একটি মোটরসাইকেলের শব্দে পুলিশ এসেছে মনে করে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য আতাউল হকের মোবাইলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া গেছে।স্বরূপদহ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি এখনও শুনিনি।

জানতে চাইলে চৌগাছা থানার ওসি খন্দকার শামীম বলেন, আমি যশোরে আছি। চৌগাছায় গিয়েই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।

আরএম


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ