শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


ভিডিও গেমস খেলা শরিয়তের দৃষ্টিতে বৈধ কিনা?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইদানিং ভিডিও গ্যামসের বিষয়টি ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে। কম্পিউটারে ভিডিও গেমস খেলা সম্পর্কে শরিয়তের বিধান কি? যদি গেম খেলে সময় পার করতে গিয়ে ফরয ও সুন্নাহ ইবাদতের সমস্যা না হয় তাহলে কি কিছু সময়ের জন্য গেম খেলা যাবে?

ফিকহবিদগণ মনে করেন, খেলাধুলা ও বিনোদনমূলক বিষয়াবলীকে ইসলামি-শরিয়তে খুব সর্তকতার সাথে মূল্যায়ন করা হয়েছে। খেলা ও বিনোদনে মন্দ কোনো বিষয়ের উঁকি-ঝুকি না থাকলে ইসলাম সেই খেলা ও বিনোদনে বাধা দেয় না।

এজন্য ইসলাম দু’ ধরনের খেলাধুলাকে দু’টি শর্ত সাপেক্ষে তথা ফরজ ও ওয়াজিব-ইবাদতে বিঘ্ন না ঘটা এবং এর সাথে কোনো গোনাহের বিষয় যেমন জুয়া, বেপর্দা ইত্যাদির অবতারণা না হওয়ার শর্তে বৈধ বলেছে। আর যে দুই ধরনের খেলা বৈধ তা হলো-

১. দৈহিক উপকার আছে এমন খেলা বৈধ। যেমন দৌড়, ফুটবল ও ক্রিকেট ইত্যাদি।

২. দ্বীনের শত্রুর বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণমূলক খেলা বৈধ। যেমন তীরন্দাজি, ঘোড়-দৌড় ইত্যাদি।

এছাড়া বাকি সব খেলাই অহেতুক হওয়ায় ইসলামের দৃষ্টিতে মাকরূহ এবং ক্ষেত্রবিশেষ হারামও বটে। (তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম খ.৪ পৃ.৪৩৪,৪৩৫)

ভিডিও গেমস

এবার আসা যাক ভিডিও গেমস সম্পর্কে। অনেকেই আছেন, যারা সুযোগ পেলেই গেমস খেলায় মেতে উঠেন। অথচ এইগুলোর মাঝে অনেক হারাম জিনিস জড়িত।

বর্তমান স্মার্টফোন,কম্পিউটারের বেশিরভাগ গেমসে আছে প্রাণীর ছবি। এছাড়াও অনেক সময় এই গেমসগুলোতে আরো অনেক মন্দ ও গোনাহর বিষয় যুক্ত থাকে।

যেমন, ১. মিউজিক, গান, বাজনা ও বাদ্যযন্ত্র। ২. বেপর্দা নারীদের নগ্ন ও অশ্লীল ছবি। ৩. কাফেরদের সম্মান করা, তাদের নষ্ট সংস্কৃতিকে প্রচার করে মুসলিম শিশু-কিশোর ও যুবসমাজকে ধ্বংস করা।

৪. কাফেরদের ধর্মীয় শিরকি-কুফুরি বিশ্বাস ও কাফেরদের চিহ্নকে কৌশলে মুসলিমদের মাঝে প্রচার করাসহ আরো বহু মন্দ-বিষয় এসব গেমসে থাকে।

সর্বোপরি মোবাইলে গেমস খেলা মানে নিজের অমূল্য সম্পদ সময়কে অপচয় করা এবং অল্প থেকে ধীরে ধীরে এটা নেশায় পরিণত হওয়া। সুতরাং একজন মুসলিম হিসাবে এ থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

হজরত আবু হুরাইরা রা. বলেন , রাসূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন , من حُسنِ إسلام المرءِ تركُهُ ما لا يعنيه একজন ব্যক্তির ইসলামের পরিপূর্ণতার একটি লক্ষণ হল, তার জন্য জরুরি নয় এমন কাজ সে ত্যাগ করে। (জামে তিরমিযী ২২৩৯)

উত্তর দিয়েছেন: মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ