শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


কিশোরগঞ্জে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, দুই শিক্ষকের ৬ মাস কারাদণ্ড

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাহমুদুল হাসান
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগে দুই স্কুলশিক্ষককে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মশিউর রহমান এ আদেশ দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা হলেন ইটনা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম (৩৮) ও মহেশ চন্দ্র মডেল শিক্ষা নিকেতনের শরীরচর্চা শিক্ষক মো. সাইফুল ইসলাম খান (৪০।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ওই দুই শিক্ষক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁরা প্রায় এক বছর ধরে ইটনা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানিসহ মানসিক নির্যাতন এবং কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।

এমন অভিযোগ পাওয়ার পর তাঁদের একাধিকবার ইউএনও কার্যালয়ে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের এ কাজ থেকে নিবৃত্ত করা যায়নি। সবশেষ ১৫-২০ দিন আগেও তাঁদের একই অভিযোগে ডেকে আনা হয়। এ সময় তাঁরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে ওই ছাত্রীকে আর যৌন হয়রানি করবেন না বলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এরপরও তাঁরা ওই ছাত্রীর পিছু ছাড়েননি। তাঁরা ছাত্রীকে মুঠোফোন কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখান। নগদ টাকাও দিতে চান। ওই ছাত্রী এসব কথা তাঁর পরিবারকে জানালে ওই দুই শিক্ষক বুধবার দিবাগত রাতে ছাত্রীর বাবাকে দুই লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টি আপস করতে চান। বিষয়টি ইউএনওকে না জানাতে ছাত্রীর বাবাকে অনুরোধ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের পাশের সড়কে দাঁড়িয়ে থাকি। ওই ছাত্রী স্কুল থেকে ফেরার পথে যৌন হয়রানির সময় দুই শিক্ষককে হাতেনাতে আটক করি। পরে প্রত্যেককে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছি।’

 


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ