বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

‘সরকারের ন্যুনতম খরচ ছাড়াই কওমি শিক্ষার্থীরা দেশ ও মানবতায় অবদান রাখছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন,দেশের বৃহৎ একটি অংশ কওমি মাদরাসায় পড়ুয়া ছাত্র। যাদের পেছনে সরকারের ন্যুনতম কোন খরচ নেই। তা সত্ত্বেও কওমি মাদরাসার ছাত্ররা দেশ, ইসলাম ও মানবতার কল্যাণে অসামান্য অবদান রেখে চলছেন।

তিনি দেশের সামগ্রিক অবস্থা ভাল নয় উল্লেখ করে বলেন, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের আকাশচুম্বি মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনজীবন দূর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

কাঁচাবাজার, তরিতরকারির দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি, কাঁচা মরিচের দাম ২৫০/৩০০ টাকা। এত দাম দিয়ে সাধারণ মানুষের কিনে খেয়ে বেঁচে থাকাই অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। তারপর আবার বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা চলছে। বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

গতকাল রাজধানীর রামপুরাস্থ জামিয়া কারীমিয়া আরাবিয়ার অভিভাবক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জামিয়ার প্রিন্সিপাল শায়খুল হাদীস মাওলানা মকবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুফতি মোহাম্মদ হেমায়েতুল্লাহ, মুফতি জাবের মাহমুদ, মুফতি ওয়ালী উল্লাহ, মুফতি ফরীদ আহমাদ প্রমুখ।

তিনি বলেন, ইলমে ওহীর এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে নস্যাৎ করতে দেশি-বিদেশি তাগুতি শক্তিগুলো সিন্ডিকেট ভিত্তিক অপপ্রচার চালিয়েছে। শেষতক কুরবানীর চামড়া নিয়েও তেলেসমাতি করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো কওমী শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে কওমী শিক্ষা ব্যবস্থার অনিবার্যতা দিন দিন আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

অনেক অভিভাবক সন্তানকে কওমী শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পেরে গর্ববোধ করছেন। এমনকি হাই সোসাইটির অনেককেও তাদের আদরের সন্তানকে কওমী মাদরাসায় পড়াচ্ছেন। এটা ইলমে ওহীর শিক্ষার বৈশিষ্ট্য।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, যতদিন ইলমে নববীর এই শিক্ষা ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকবে ততদিন দুনিয়া টিকে থাকবে। যারা আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চাইবে তারাই ধ্বংস হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।

মা-বোনদের নামে আলী মিয়া নদভীর খোলা চিঠি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ