শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত

দীনিয়্যাত : আমেরিকার বুকে এক টুকরো তুর্কি সম্রাজ্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবরার আবদুল্লাহ : আমেরিকার বুকে তুর্কি সম্রাজ্য! শুনে আশ্চর্য হতে পারেন। কিন্তু সুবিশাল মসজিদ, লক্ষাধিক বইয়ের লাইব্রেরি ও তুর্কি শমিংমলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এমনটি মনে হওয়া মোটেও আশ্চর্য কিছু নয়।

আমেরিকার ম্যারিল্যান্ডে নিজস্ব জগৎ গড়ে তুলেছেন তুর্কি মুসলিমরা। সে জগতের নাম ‘দীনিয়্যাত সেন্টার অব আমেরিকা’। এ সেন্টারের অধীনে রয়েছে মসজিদ, লাইব্রেরি, স্কুল, শপিংমল, সুইমিংপুল, রেস্টুরেন্ট, গেস্ট হাউজ, আবাসিক ভবন, চিকিৎসা কেন্দ্র, পার্টি হাউজ ও স্পোর্টিং ক্লাব। কমপ্লেক্সের ৫টি বিশাল ভবনে সেন্টারে এ কাজগুলো পরিচালিত হয়।

মৌলিক অবকাঠামোসমূহের মধ্যে সবচেয়ে নান্দনিক মসজিদ। ষোড়শ শতকের স্থাপত্য শৈলীতে নির্মাণ করা হয়েছে এটি।

১১০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে আমেরিকার বুকে ছোট্ট তুর্কি রাজ্যটি গড়ে তুলেছে তুর্কি আমেরিকান কমিউনিটি সেন্টার (টিএসিসি)। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠাকালে সংস্থাটির নাম ছিলো তুর্কি আমেরিকান ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ২০০৩ সালে সালে কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শেষে সংস্থার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় তুর্কি আমেরিকান কমিউনিটি সেন্টার।

লাইব্রেরি ভবন। লক্ষাধিক গ্রন্থ রয়েছে এখানে।

আমেরিকায় বসবাসরত তুর্কি নাগরিকদের আইনি, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিনোদন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে দীনিয়্যাত সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে।

দীনিয়্যাতের শিক্ষা ও সামাজিক সেবার মধ্যে রয়েছে, ধর্মীয় শিক্ষা, ধর্মপ্রচার, বিবাহ ও ওলিমা, চিকিৎসা সেবাসহ বিভিন্ন উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক আয়োজন।

তবে শুধু তুর্কি নাগরিকই নয়; বরং সাধারণ মানুষের জন্য এ সেন্টারের সেবাসমূহ উন্মুক্ত। যে কোনো দেশের নাগরিক দীনিয়্যাত সেন্টার পরিদর্শন করতে পারেন।

আটশো আসন বিশিষ্ট পার্টি হাউজ

সেবা ও আয়তনে এটাই আমেরিকায় অবস্থিত সর্ববৃহৎ তুর্কি ইসলামিক সেন্টার। সেন্টারটি তুরস্ক সরকারেরও অনুদান পায়। এ সেন্টারের অধীনে আমেরিকার আরও ২২ তুর্কি ইসলামিক সেন্টার পরিচালিত হয়।

দীনিয়্যাত সেন্টারের সার্বিক কার্যক্রমকে ১৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক বিভাগের জন্য রয়েছে একজন পরিচালক ও দুই বা ততোধিক সহকারী। বিভাগগুলোর অন্যতম নির্বাহী, ধর্মীয় সেবা, শিক্ষা, উচ্চতর গবেষণা, সমাজসেবা, সংস্কৃতি, মহিলা-পরিবার-যুব উন্নয়ন, মানব সম্পদ, গণসংযোগ, ক্রীড়া, অর্থ ও নিরাপত্তা।

সূত্র : উইকিপিডিয়া, দীনিয়্যাতের ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন ফিচার

ভিডিও দেখুন :


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ