শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


রোহিঙ্গা সমস্যা: পরিকল্পিতভাবেই বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলা হচ্ছে নাতো?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আনাস বিন ইউসুফ
আলেম অনলাইন এক্টিভিস্ট

সময় যত গড়াচ্ছে সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতিই হচ্ছে৷ একদিকে আরাকান থেকে পালিয়ে আসা উদ্বাস্তুদের ঢল অব্যাহত রয়েছে৷ টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে এখনো প্রবেশ করছে হাজার হাজার রোহিঙ্গা৷ অন্যদিকে একে একে ব্যর্থ হচ্ছে চলমান সংকট নিরসনে আন্তর্জাতিক সকল তৎপরতা৷

আশা ছিল, অনতিবিলম্বে জাতিসংঘ সংকট নিরসনের কার্যকরি কোন উদ্যোগ গ্রহন করবে৷ কিন্তু সেটা হয় নি৷ নিয়ম রক্ষার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর নির্যাতন বন্ধের আহবানেই সীমাবদ্ধ রয়েছে তাদের তৎপরতা৷

জাতিসংঘ যে ব্যর্থ হবে এটা পূর্ব থেকেই অনুমান করা যাচ্ছিল৷ কেননা বিশ্বের মুসলিম জনপদগুলোতে শান্তি ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে আজ পর্যন্ত জাতিসংঘ কোন সাফল্য দেখাতে পারে নি৷ অমুসলিম আধিপত্যে পরিচালিত জাতিসংঘে মুসলিম প্রসঙ্গটি অনেকটাই মূল্যহীন।

জাতিসংঘের মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচটি দেশ৷ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, বৃটেন, ফ্রান্স ও চীন৷ পৃথিবীর অনেক গণহত্যা ও অপরাধের সঙ্গে সঙ্গে এই রাষ্ট্রগুলোর সম্পৃক্ততার প্রমাণ রয়েছে। বৃহৎ পরাশক্তি পাঁচ রাষ্ট্র ব্যতীত নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যদের ভেটো ক্ষমতা যেমন নেই, তেমন পরাশক্তিদের মতামতের বাইরে যাওয়ার সুযোগও কম।

নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত যেকোন প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্য পূর্বশর্ত হচ্ছে পরিষদের সবার সম্মতি থাকা। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী কোন সদস্য রাষ্ট্র যদি দ্বিমত পোষণ করে তাহলে প্রস্তাবটি বাতিল বলে গন্য হবে৷ সুতরাং চীনের বিরোধিতার মুখে মিয়ানমারের চলমান সংকট নিরসনে জাতিসংঘ কিছুই করতে পারছে না৷মিয়ানমার সরকারকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয়া চীন এখানে ভেটো দিবে৷

জাতিসংঘের আগামী দিনের করণীয় বলতে ‘বক্তব্য-বিবৃতি আর নিন্দা।’ ব্যস, এটুকুই তাদের সাধ্য-ক্ষমতা ৷

এদিকে চীনের পর রাশিয়াও পরোক্ষভাবে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ নিয়েছে৷ তারা বলেছে, চলমান সমস্যাটি মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয়৷ তাই রাশিয়ার আহবান কোন দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্ব যাতে নাক না গলায়।

চীন-রাশিয়ার এই অভিন্ন আচরণে অবাক হই নি৷ এটাও পূর্ব থেকে অনুমেয় ছিল৷ বিশ্ব রাজনীতির সমীকরণে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের যে দূরত্ব একই দূরত্ব রাশিয়ার সাথেও৷ ফলে বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে চীন-রাশিয়াকে অভিন্ন অবস্থানে দেখা যায়।ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর দৃশ্যপটে কিছুটা পরিবর্তন হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। নতুন করে আমেরিকার সাথে রাশিয়ার উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠছে৷

এছাড়া বিশ্ব বাজারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসেবে ডলারের বিপরিতে বিকল্প মুদ্রা প্রচলনের যে গোপন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে সেটা বাস্তবায়নে চীন-রাশিয়া একজোট৷ চীন-রাশিয়া আশা করে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তারা সাথে পাবে৷

সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষত গত এক দশক ধরে বাংলাদেশও আমেরিকার চোখ রাঙানিকে থোরাই কেয়ার করছে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তৃতীয় সারির নেতা পর্যন্ত কেউ না কেউ প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন৷

বাংলাদেশ মনে মনে ভারত, চীন ও রাশিয়াকে বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করে ৷ তিনটি দেশের সাথেই বাংলাদেশের বড় বড় বাণিজ্যিক চুক্তি রয়েছে৷ ভারতের ট্রানজিট, রামপাল এবং বন্দর চুক্তিসহ আরো অসংখ্য চুক্তি৷

রাশিয়ার সাথে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অস্ত্র চুক্তি করে সেটা বাস্তবায়নও করেছে বাংলাদেশ৷ আর চীনের কাছ থেকে সবশেষ সাবমেরিন ক্রয়সহ আরো বেশ কিছু চুক্তি আছে৷

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি হয়ে উঠছে ভারত৷ বিশ্ব সম্প্রতি রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত চীনের মতো মিয়ানমার সরকারের পাশে থাকার নীতি গ্রহণ করেছে।

শুধু এখনই না, ১৯৯০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত প্রায় দুই দশক ধরে মিয়ানমারকে যারা অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করছে তাদের অন্যতম ভারত৷ মূলত চারটি দেশ সবচেয়ে বেশি অস্ত্র দিয়েছে মিয়ানমারকে ৷ ভারত ব্যতীত বাকি তিনটি দেশ হচ্ছে চীন, রাশিয়া ও ইউক্রেন ৷ [যুগান্তর]

ওদিকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জন্য ভারত ত্রাণ পাঠিয়ে সহযোগিতা করছে ৷ বিষয়টি কেউ কেউ হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন। বন্ধুত্বের খাতিরে বাংলাদেশকেও তো কিছু সহযোগিতা করতে হয়৷

ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমারের উপর চাপ প্রয়োগ না করে বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠানোর অর্থ হচ্ছে ভারত দুই কূলই রক্ষা করতে চাই। শুধু ভারতই না, চীনও বাংলাদেশে ত্রাণ পাঠাচ্ছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। [যুগান্তর]

যেখানে বাংলাদেশের চেলেঞ্জ

রোহিঙ্গা সমস্যায় বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ৷ সব ছেড়ে পালিয়ে আসা মানুষগুলোকে কোথায় জায়গা দিবে বাংলাদেশ? কতদিনই বা তাদেরকে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় দিবে? আর কবে নাগাদ এদের নিজ দেশে পূনর্বাসন করা হবে তারও কি কোন নিশ্চয়তা আছে? এত বিশাল একটা জনগোষ্ঠিকে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দেয়াও অসম্ভব ৷

কিন্তু এ সমস্যা থেকে উত্তরণের পথ? কেউ কেউ বলছেন, মিয়ানমারের সাথে সরাসরি লড়াই করা৷ অর্থাৎ সেনাবাহিনীসহ সব রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করা৷ যুদ্ধ করা৷ প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের জন্য মূল চ্যালেঞ্জটা এখানেই৷ দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা-স্বকীয়তা রক্ষায় বাংলাদেশ যদি মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায় তাহলে আগে দেখতে হবে, বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর ভূমিকা কি হতে পারে৷

হিসাব করতে হবে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের উপর সামরিক হস্তক্ষেপ করার ক্ষেত্রে কে কতটুকু সহায়তা করবে ৷ বর্তমান সময়ে যেকোন যুদ্ধের ক্ষেত্রে শত্রু-মিত্রের ভূমিকা নিয়ে আগে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয় ৷

পরিস্থিতির বিচারে এটা স্পষ্ট যে বাংলাদেশ তার তিন বন্ধুর কোন বন্ধুকেই সাথে পাবে না ৷ কেননা, চীন ভারতের পর সবশেষ রাশিয়ার অবস্থানও মিয়ানমারের পক্ষে ৷ যার অর্থ হচ্ছে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেলে তিন বন্ধুও প্রতিপক্ষের সারিতে থাকবে ৷ তাদের সাথেও লড়াই করতে হবে৷ সরাসরি অস্ত্রের লড়াই না হলেও কূটনৈতিক লড়াই তো অবশ্যই৷

প্রশ্ন হল- বন্ধু প্রতীম বাংলাদেশকে ক্ষতি করে চীন-রাশিয়া-ভারত মিয়ানমারের পক্ষে থাকবে কেন?

এই প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এই তিন বন্ধুদেরও কিছু করার নেই৷ বিশ্ব বাজারে অর্থনীতির যে করুণ অবস্থা তাতে এশিয়ার এ অঞ্চলগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্য ধরে রাখতে না পারলে ভাতে মরা লাগবে তাদের৷

এমতাবস্থায় বড় একটি বাণিজ্যিক এলাকা প্রয়োজন প্রত্যেকেরই৷ রোহিঙ্গা মুসলমানদের উৎখাতের মাধ্যমে আরাকনকে জনশূন্য করে মিয়ানমার থেকে সে স্বার্থটা উদ্ধার করাই এখানে মূখ্য৷

মিয়ানমার সরকারও চাচ্ছে, চীন-ভারতকে সাথে নিয়ে মাংডুকে বাণিজ্যিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে৷ ইতিমধ্যে সে প্রক্রিয়া শুরুও করেছে তারা। তবে চীন হয়তো এটাও চাইবে, এ অঞ্চলে তাদের একটি সামরিক ঘাটি থাকুক৷ প্রয়োজনে রাশিয়াকে সাথে নিয়ে যৌথভাবেও সেটি হতে পারে৷

সব মিলিয়ে সমীকরণ এটাই বলছে, চীন ভারত ও রাশিয়া যেকোন অবস্থায় মিয়ানমারের পক্ষে থাকবে৷ এতেই তাদের স্বার্থ উদ্ধার হবে৷ অপর দিকে বাংলাদেশ থেকে যে স্বার্থ হাসিলের প্রয়োজন ছিল তার প্রায় নব্বই ভাগ গত এক দশকে আদায় করে নিতে সক্ষম হয়েছে ভারত৷ ফলে বাংলাদেশকে এখন লড়তে হলে, মিয়ানমারের সাথে তিন মিত্র শক্তিকেও মোকাবেলা করতে হবে৷

অপর দিকে মহা পরাশক্তি আমেরিকা যুদ্ধ বাঁধলে ‘বাংলাদেশের সাথে থাকবে’ এমনটি আশা করারও সুযোগ নেই৷ এতদিন যার দিকে নির্দ্বিধায় চোখ বড় করে তাকিয়েছি, আঙ্গুল তুলে কথা বলেছি সে কি আর আমাকে সঙ্গ দিবে! তার কাছ থেকে করুণা পাবার আশা করা আমাদের জন্য দিবাস্বপ্ন ছাড়া কিছু না৷

এছাড়াও আরাকান ভাগ-বণ্টনে পশ্চিমাদের কোন অংশ থাকবে না এটাও প্রায় নিশ্চিত৷ যদি তাদের জন্য কোন উদ্বৃত্ত/উচ্ছিষ্ট থাকতো তাহলে এতদিনে জাতিসংঘের শান্তিবাহিনী চলে আসার ব্যবস্থা হয়ে যেতো৷ যেমনটি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে৷ আমেরিকা হয়তো সে দিকেই তাকিয়ে আছে৷

মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের উৎখাত করে আরাকানে যে বাণিজ্যিক বলয় গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছে সেসবের চুক্তি চীন ও ইউরোপের সাথে৷ পশ্চিমাদের সাথে নয়৷ ফলাফল এই দাঁড়ায়, রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে যুদ্ধ করতে গেলে বাংলাদেশকে একাই লড়তে হবে৷

বাকি রইলো, অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর কথা৷ তাদের অবস্থান কী হতে পারে৷ মুসলিম দেশ সমুহের শাসকরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোসহ যত কিছুই করুক রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে তারা কোন ধরনের সামরিক হস্তক্ষেপ করতে আসবেন না৷ কারণ, সামরিক হস্তক্ষেপ করার মত সমস্যায় তাদের দেশ আক্রন্ত না৷ বিনা কারণে কেউ নিজ দেশের সমর শক্তি ব্যয় করতে যাবে কেন? আর না তাদের এখানে কোন স্বার্থ আছে?

বরং স্বার্থের খাতিরে তিন মিত্রের সাথে একজোট হয়ে পারলে মিয়ানমারের পক্ষে থাকবে৷ রাজ পরিবার শ্বাসিত সৌদি আসবে না পশ্চিমের বন্ধুরা অখুশি হতে পারে এ আশংকায়৷ আর অন্যান্যরা নিজেদের ভবিষ্যত নিয়েই চিন্তিত৷

শুরুতে প্রেসিডেন্ট এরদুগানের নড়াচড়া দেখে অনেকে ভাবছে, তুরস্ক হয়তো প্রয়োজন হলে সামরিক সহায়তা করেও বাংলাদেশের পাশে থাকবে৷ এতে মুসলিমবিশ্বে তার নেতৃত্বটা আরো শক্ত হবে৷ প্রকৃতপক্ষে এই কল্পনা ভুল৷

এরদুগান ভাল করেই জানেন, বাংলাদেশে তার লিডারশিপ কতটুকু চলতে পারে৷ বাংলাদেশের কলকাঠি কোথায় নড়ে৷ তবে তিনি যা করার তা করে গেছেন৷ বিশ্ব বিবেককে কিছুটা হলেও জাগিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন৷

মানবিক দিক থেকে যা করা দরকার ছিল প্রায় সব করেছেন৷ ত্রাণও পাঠিয়েছেন৷ তার কাছ থেকে আর কিছু আশা করা যায় না৷ ফলে সবদিক থেকে সহযোগী ও বন্ধুহীন বাংলাদেশের আকাশ সীমায় মিয়ানমার বাহিনীর হেলিকপ্টার অবৈধভাবে বার বার অনুপ্রবেশ করলেও আমাদের কিছু বলার থাকে না৷

আশংকা হচ্ছে, হয়তো এই সুযোগে বাংলাদেশকে লেলিয়ে দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় অস্ত্র বাণিজ্যকে নতুনভাবে চাঙ্গা করতে চাচ্ছে কোন কোন বন্ধু৷ এমন সমীকরণে ইতিহাসের এক কঠিন চেলেঞ্জের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ৷ এ চেলেঞ্জ কিভাবে মোকাবেলা করা হবে, কোন প্রক্রিয়ায় এই সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের হয়ে আসবে সেটা সময়ই বলে দিবে৷

এখন বাংলাদেশের করণীয় হল, বিষয়টিকে নোংরা রাজনীতির খোরাক হিসেবে গ্রহণ না করে এটাকে আন্তর্জাতিকভাবে মোকাবেলা৷ দেশমাতৃকার প্রতি সর্বোচ্চ ভালবাসা ধরে রেখে দেশের জন্য যেটা ভাল সেটাই করা৷ প্রয়োজনে দেশের সকল রাজনৈতিক দল ও দেশ চিন্তকদের সাথে আলোচনা করে করণীয় ঠিক করা৷ এর পাশাপাশি জীবনটা হাতে নিয়ে আমাদের কাছে আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের সাধ্যমত সার্বিক সহযোগিতা করা৷

কারো প্ররোচনায় প্ররোচিত না হয়ে ধীরে সুস্থে ও ভেবে চিন্তে সামনে পা ফেলা৷ প্রয়োজনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভারত-চীন ও রাশিয়ার সাথে জরুরি আলোচনায় বসা৷ সংকট উত্তরণের পথ খুঁজে বের করা৷ এমনকি আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো যদি সর্বাত্মক সাথে থাকার বিষয়ে পরিপূর্ণ নিশ্চয়তা দেয় তাহলে মিয়ানমারের সাথে যুদ্ধ করে বাংলাদেশের সীমানা বাড়ানোর চেষ্টাও করা যেতে পারে৷ তবে এসব কিছুর জন্য প্রয়োজন সুচিন্তিত ও সহাসী পদক্ষেপ ৷ প্রয়োজন একটা স্বচ্চ-স্বকীয় ও কার্যকরি পররাষ্ট্রনীতি৷ আর নিজেদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সর্বোচ্চ অনুধাবন৷

মনে রাখতে হবে, মাথা যেহেতু আমাদের তাই ব্যথাটাও আমাদেরই৷ সবশেষ উদ্বিগ্ন হৃদয়ের একটা প্রশ্ন-
সুদূর প্রসারী গভীর ষড়যন্ত্রের একটা অংশ কি এটাও যে, চলমান সংকট সৃষ্টি করে বাংলাদেশকেও বেকায়দায় ফেলা?

আন্তর্জাতিক গণআদালতে সুচির বিচার শুরু; শুক্রবার রায়


সম্পর্কিত খবর