শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


কুয়াকাটায় পর্যটকরা বার্মিজ পন্য কিনছেন না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আমির উসমান: কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা এবার বার্মিজ পন্যর দিকে নজর দিচ্ছেন না। এসবের বদলে দেশী আচার, চকলেট, কাপড় ও প্রসাধনী চেয়ে নিচ্ছেন।

রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ স্বরুপ বার্মিজ পন্য বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েই ওইসব পন্য ক্রয় থেকে বিরত রয়েছেন বলে মিডিয়াকে অন্তত ৫০জন পর্যটক জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১১সেপ্টেম্বর) এমন আলোচনা গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর মুখে শুনলেও এর প্রভাব পড়ে গতকাল বুধবার দিনভর।

কুয়াকাটা শ্রী-মঙ্গল বৌদ্ধ বিহারের সামনে ইত্যাদি ফ্যাশনের মালিক মিলন জানিয়েছেন, তার চেহারা দেখে গত পাঁচদিনে কোন পর্যটক ওই দোকানে আসেননি। পর্যটকরা ধারণা করেছেন ওই ব্যবসায়ী রাখাইন।

তবে মিলন এমন সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে বাধ্য হয়ে পর্যটকদের সাথে কথা বললে পর্যটকদের ভুল ভাঙ্গে। কিন্তু পর্যটকরা তার দোকান থেকে কোন প্রকার বার্মিজ পন্য সংগ্রহ করেনি।

এমন অবস্থা শুধু মিললের নয়, সৈকত লাগোয়া বার্মিজ পন্যের পসরা সাজিয়ে রাখা অন্তঃত তিনশ’ ব্যবসায়ী, রাখাইন পল্লীর শতাধিক দোকান, ভূইঁয়া মার্কেটের শতাধিক দোকানসহ প্রায় এক হাজার বার্মিজ পন্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের।

বার্মিজ পন্য বর্জনের এই হিরিক চলছে পুরো কক্সবাজারেই। টেকনাফের রাখাইন কর্তৃক পরিচালিত রাখাইন মহিলা মার্কেটের ১৫ টি দোকানের মধ্যে ৬ টি দোকান খোলা রয়েছে।

পাশ্ববর্তী ব্যবসায়ী আনোয়ার জানিয়েছেন, তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি হলেও ক্রেতাদের এমন সিদ্ধান্তে নীতিগত সমর্থন রয়েছে তার। সৈকত লাগোয় বার্মিজ পণ্য বিক্রেতা জুলহাস, জুয়েল ও সুমনরা জানিয়েছেন, পর্যটকরা বার্মিজ পন্যের কথা শুনলে কিনতে চায় না।

রাজধানীর উত্তরা থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক বহরে থাকা মা খাদিজা, বোন রোজি, মেয়ে সায়িমা, সানজিদা ছেলে গালিবকে নিয়ে প্রতি বছরের মত এবার ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় এসেছেন।

মা খাদিজা বলেন, বাচ্চাদের ফেসবুক বন্ধুরা একযোগে রোহিঙ্গা নির্যাতনের প্রতিবাদ স্বরুপ বার্মিজ পন্য বর্জনের শপথ নেয়। তাই মানবিকতার জায়গা থেকে তাদের অনুরোধে ওই পরিবারটি কোন প্রকার বার্মিজ পন্য সংগ্রহ করেননি।

সাগর পারে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সুমন বলেন আমরা বিশেষ বিশেষ ছুটির দিনে অপেক্ষায় থাকি যে ক্রেতারা বেশী বেশী কিনবে আর আমরা লাভবান হবো এই বার ঈদে পর্যটকরা দোকানে আসে আর দেখে ফিরে যাচ্ছে। ক্রেতা পন্য দেখে বলে এগুলো বার্মা থেকে আসছে হ্যা বলতেই মুখ ফিরিয়ে না কিনে চলে যাচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে ব্যবসায় ধস নামবে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ