শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


রোহিঙ্গাদের রক্তমাখা চাল জনগণ খেতে চায় না: কানাইঘাটে বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইয়াহইয়া শহিদ: বৃহত্তর সিলেটের প্রবীণ শাইখুল হাদিস কানাইঘাট দারুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস  লক্ষ্মীপুরীর ডাকে স্থানীয় কানাইঘাট বাজারে সুচির মানবতা বিরোধী রোহিঙ্গা মুসলিমের উপর অমানবিক নির্যাতন, গণহত্যার প্রতিবাদে এক গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দুপুর ১২টা থেকে কানাইঘাট উত্তর বাজারে গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আল্লাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস লক্ষ্মীপুরীর সভাপতিত্বে এবং কারী হারুনুর রশিদ সাহেবের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব জমিয়তে উলামা বাংলাদেশের সহ সভাপতি আল্লামা শামসুদ্দীন দুর্লভপুরী।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে মিয়ানমারের সুচি কর্তৃক রখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা হিন্দু মুসলিমের উপর অমানবিক নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু কেবল বাংলাদেশের বা মুসলমানের কোনো ইস্যু নয় যে, কেবল মুসলমান বা বাংলাদেশ সরকার তার বিরোধিতা করবে। এইটা মানবতার ইস্যু।

বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমাদের বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘসহ সকল মানবাধিকার সংস্থা চেষ্টা করে আসছে। ঠিক এই এই মুহূর্তে শান্তিতে নোবেলজয়ী সুচির এই মানবতার বিরোধী অমানবিক নির্যাতন কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না। তিনি বিশ্বের সকল মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতিসংঘের কাছে এই দাবী জানান, অতিসত্বর সুচির এই অমানবিক নির্যাতন বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা হোক এবং রাখাইন রাজ্যেই তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হোক।

গণমিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আল্লামা লক্ষ্মীপুরী বলেন, সুচি একজন মানবতা বিরোধী। একজন ভয়ঙ্কর খুনি। এর আগে পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম শিশুহত্যা এবং বর্বর নির্যাতনের ঘটনা ইতিহাসে নাই।

প্রায় চারলক্ষ নতুন রোহিঙ্গাকে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সরকার চারলক্ষ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে তাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে তাদের ফেরত নেয়ার দাবি জানানো জন্য এবং রোহিঙ্গাদের দেখতে শরণার্থী শিবিরে যাওয়ার জন্য সত্যিই বাংলাদেশ সরকার প্রশংসার দাবিদার।

তবে বাংলাদেশ সরকার যে মায়ানমার থেকে চাল আনার যে চুক্তি করেছে, তা বাতিল করে নেয়ার আহবান জানিয়ে বক্তারা বলেন, রুহিঙ্গাদের রক্তমাখা চাল বাংলাদেশের জনগণ খেতে চায় না। তাই এই চুক্তি বাতিল করার পাশাপাশি বার্মিজ সকল পন্য বর্জন করার আহবান জানান বক্তারা।

সকাল থেকে কানাইঘাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে দল মত নির্বিশেষে গণমিছিলে যোগ দিতে মিছিলসহ কানাইঘাট মাদরাসায় পৌঁছেন তৌহিদি জনতা। পরে কানাইঘাট মাদরাসা থেকে গণমিছিল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব আল্লামা শামসুদ্দীন সাহেবের নেতৃত্বে গণমিছিলটি কানাইঘাট পৌরশহর ঘুরে প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দেয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জমিয়তে উলামা বাংলাদেশ জমিয়তে আনসার বাংলাদেশ, জমিয়তে তালাবা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ, জাতীয় পার্টি, বি এন পি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ