বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :

এরদোগানের সঙ্গে আবদুল হামিদের বৈঠক; যে কথা হলো দুজনের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

কাকাখস্তানে ওআইসির বৈঠকের এক ফাঁকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তায়্যিব এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। বৈঠকে আবদুল হামিদ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে। খবর বাসস

প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ সেনা অভিযানে মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে এবং ওআইসি’র মতো সংগঠনগুলোর সহায়তায় একটি ‘সেইফ জোন (নিরাপদ অঞ্চল)’ গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এরদোয়ানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠকে আবদুল হামিদ বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের এই বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠির জন্য জাতিসংঘ অথবা ওআইসি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালিত একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলা যেতে পারে।’

এসময় মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।

তিনি বলেন, নিপীড়ন থেকে বাঁচার জন্য মিয়ানমার থেকে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসছে। এই জনস্রোতে ঘন জনবসতিপূর্ণ বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ও পরিবেশের জন্য বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করছে।

মিয়ানমারের নাগরিকদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে এবং পূর্বপুরুষের ভূমিতে তাদের সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে দেশটির সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগে তুরস্কের নেতার পাশাপাশি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান আবদুল হামিদ।

এসময় কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে সম্প্রতি তুরস্কের ফার্স্ট লেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের জন্য এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

রোহিঙ্গারা বিগত কয়েক বছর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নিচ্ছে। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া চলমান সেনা অভিযানে প্রায় তিন লাখ শরণার্থী নতুন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

ওআইসি সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় বাংলাদেশে এক হাজার টন মানবিক সাহায্য পাঠিয়েছে। অবিলম্বে আরো ১০ হাজার টন ত্রাণ সাহায্য পাঠাবেন বলেও রাষ্ট্রপতিকে আশ্বাস দেন তিনি।

বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য অন্যান্য দেশগুলোও যেন সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে পারে সে জন্য ইস্তাম্বুল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে জানান এরদোয়ান।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ