শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


১০ লাখ নয়, ৩ লাখ টন চাল দেবে মিয়ানমার

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমার থেকে চাল আনতে গত বুধবার দেশটিতে সফর করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। লক্ষ ছিল  ১০ লাখ টন চাল আমদানি। কিন্তু মিয়ানমার সরকার রাজি হয়েছে ৩ লাখ টন চাল দিতে।

গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোয় একটি পাঁচ তারকা হোটেলে দুই দেশের মধ্যে এ বিষয়ে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

বাংলাদেশের পক্ষে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মিয়ানমারের পক্ষে দেশটির বাণিজ্যমন্ত্রী থান মিন্ট নিজ নিজ দেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সংস্থা মিয়ানমার রাইস ফেডারেশন আগামী ছয় বছর প্রতিবছর ৩ লাখ টন চাল বাংলাদেশে সরবরাহ করবে। তবে ওই চালের দাম কত হবে, তা ঠিক হবে আরও পরে। সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল চলতি মাসে বাংলাদেশে এসে দাম নিয়ে আলোচনা করে তা ঠিক করবে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রতিবছর ১০ লাখ টন চাল আমদানির ব্যাপারে আগ্রহ জানানো হয়েছিল। মিয়ানমার মূলত চীনসহ ২১টি দেশে চাল রপ্তানি করে। এ বছর নতুন করে ফিলিপাইন, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চাল আমদানির আগ্রহ দেখানো হয়েছে। ফলে মিয়ানমার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভালো দামে চাল বিক্রি করতে চায়।

মিয়ানমারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ বছরে ৩ লাখ টন করে চাল আমদানি করবে। এর আগে মিয়ানমার মূলত বিভিন্ন দেশে বেসরকারি খাতের মাধ্যমে চাল রপ্তানি করত। বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করল।

চাল আনতে মিয়ানমার গেলেন খাদ্যমন্ত্রী


সম্পর্কিত খবর