বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১২ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

কেমন কাটল রোহিঙ্গার ঈদ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

হাসান হাফিজ: গত শনিবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভির্যতার সাথে পালিত হয়েছে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে বার্মার মুসলমানরাও ঈদুল আযহার ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করেছে। তবে তাতে ছিল না কোন আনন্দ-উদ্দিপনা। কারণ দেশের উত্তরাঞ্চলের রাজ্য আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ভয়াবহ পরিস্থিতে উৎসবে উল্লাস না থাকাটাই স্বাভাবিক। শুধু বার্মা নয়, বিশ্বের মুসলমানদের মধ্যে এবারের ঈদ উৎযাপনে আনন্দের মাত্রা ছিল খুবই কম।

আমাদের মংডু, বুথিদং ও রাথিদং প্রতিনিধি জানিয়েছে, উত্তর আরাকানের কোথাও বড় ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে ঘরোয়াভাবে নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছে রোহিঙ্গারা। অন্যদিকে যেসব এলাকায় বর্মী সেনাবাহিনী তাণ্ডব চালিয়েছে, সেসব এলাকার রোহিঙ্গাদের মনেই ছিল না দিনটা ঈদের। আতংক, উৎকন্ঠা ও শঙ্কায় হাজার হাজার রোহিঙ্গা আজও বাংলাদেশের সীমান্তের দিকে চলে গেছে।

প্রতিনিধিরা জানিয়েছে, ঈদের দিনেও বিচ্ছিন্ন কিছু রোহিঙ্গা পল্লীতে হামলা চালিয়েছে সামরিক বাহিনী।

প্রতিদিনকারমত আগুন দিয়েছে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে। চালিয়েছে বেপরোয়া গুলাগুলি। লুট করেছে রোহিঙ্গাদের সম্পদ। বিশেষ করে মংডুর বুড়াসিকদার পাড়া, ও রিম্মতং-এর হামলা ‍উল্লেখযোগ্য।

অন্যদিকে ঈদের দিন বিকেলে ঢেঁকিবনিয়া উত্তরপাড়ায় সেনাদের গুলিতে মারা গেছে স্বামী-স্ত্রী।

এদিকে বাংলাদেশে আশ্রিতব্য অধিকাংশ রোহিঙ্গা জামায়াতের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেনি। তবে অনেকে খোলা আকাশের নামাজ পড়েছে। ।

অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্যাম্পে আশ্রিত রোহিঙ্গারা জামায়াতের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেছে। তবে কোন পশু কুরবানি করতে পেরেছে কিনা তা জানা যায়নি। একটি পক্ষ কিছু কুরবানির পশু দিতে চাইলেও, পরে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসছে। অপর্যাপ্ত গোশত কাকে রেখে কাকে দিবে-এমন ভাবনা থেকে পিছিয়ে যায় তারা।

বালুখালি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একজন বাসিন্দা জানান, নতুনভাবে আসা রোহিঙ্গারা খাবারের জন্য হাহাকার করছে। আসার সময় যেসব টাকা পয়সা এনেছিল তা দালালেরা লুট করে নিয়েছে। নিঃস্ব রোহিঙ্গাদের অনেকে ৪ দিনেরও বেশি সময় ধরে উপোস। বালুখালি ক্যাম্পে অনাহারে মারা গেছে এক রোহিঙ্গা নারী। এছাড়া ২ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা শিশু সীমান্তে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

সূত্র: আরাকান টিভি

উখিয়ার বালুখালিতে থাকার জায়গা পাচ্ছে নতুন রোহিঙ্গারা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ