রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২২ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত নারী সংস্কার কমিশন ও প্রস্তাবনা বাতিলের দাবি খেলাফত মজলিসের

দেওবন্দে এসে আত্মীক তৃপ্তি পেয়েছি: দিল্লির জজ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তাওহীদ মাদানী
দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত

দিল্লির জজ বিমল কুমার এবং দিল্লির অফিসার পিকে পাণ্ডে ও এসপি বাবুল কুমার আজ দেওবন্দ পরিদর্শনে আসেন৷ তারা দেওবন্দের মেহমানখানায় নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আব্দুল খালেক মাদ্রাজী ও অন্যান্য জিম্মাদার ওস্তাদগণের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন৷ সাক্ষাৎকালে তাঁরা দেওবন্দের ঐতিহাসিক পাঠ দানের ব্যাপারে কথা বলেন৷ সাথে সাথে এখানকার নিয়ম-কানুন, শিক্ষা-দীক্ষা, ছাত্র সংখ্যা, ছাত্রদের বসবাস ও তাদেরকে প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়েও আলোচনা করেন৷

এরপর তারা দেওবন্দের ঐতিহাসিক পাঠাগার পরিদর্শন করেন৷ সেখানে অবস্থিত বিভিন্ন দুর্লভ কিতাবাদি, বই-পুস্তকসহ তাওরাত, যবুর ও কুরআনের পুরাতন পুরাতন কপি দেখে আশ্চার্যতা প্রকাশ করে বলেন শিক্ষা-দীক্ষা ব্যাতিরেকও সামাজিক শিষ্টাচারের ক্ষেত্রে দেওবন্দের ভূমিকা অনেক৷

স্থানীয় টিভি সাক্ষাৎকারে দিল্লির জজ বলেন তারা স্রেফ দেওবন্দের পরিদর্শনেই এসেছেন৷ অন্য কোন উদ্দেশ্য তাদের নেই৷

তিনি আরো বলেন, বহু আগেই তিনি দেওবন্দ এর নাম শুনেছেন এবং পেপার পত্রিকা ও বিভিন্ন বই-পুস্তকে পড়েছেন৷ কিন্তু কখনো এখানে আসার সুযোগ মিলেনি৷ আজ এখানে এসে আমার আত্মিক প্রাশান্তি লাভ হয়েছে৷ দিল্লির অফিসার পিকে পান্ডে বলেন, আমার অন্তরে দেওবন্দ পরিদর্শনে বহু আগ্রহ ছিল৷ আজ তা পূর্ণ হলো৷

তিনি আরো বলেন দেওবন্দ তাদের সিলেবাসে সময়োপযোগী পরিবর্তন আনে এটা আমাদের জানা ছিল৷ কিন্তু এতটা যে সময়োপযোগী তাদের চালচলন এটা আমার জানা ছিল না৷ আজ জানা হল দেওবন্দে এসে৷

এসপি বাবুল কুমার বলেন দেওবন্দে এসে আমার বহুদিনের অপূরণীয় তামান্না পূরণ হয়েছে৷ মুসলমানদের ব্যাপারে আমার নেতিবাচক ধারণা ছিল৷ আজ তা দূর হল৷ দেওবন্দের খেদমত ঐতিহাসিক৷ আর দেশ স্বাধীনের ক্ষেত্রে তো দেওবন্দের অগ্রণী ভূমিকা ছিলই এটা না বললেই নয়৷ বর্তমানেও দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে দেওবন্দ৷

মাদ্রাসা পরিদর্শনে তাদের সাথে ছিল ডিএম রামলীলা, এখলিশ ইয়াদু, মুয়াবিয়া আলী, সুধরাত সিং, মাওলানা মুরতাযা কাসেমী, মাওলানা শফিক আহমদ কাসেমী, মাওলানা মহিউদ্দীন কাসেমী এবং মাওলানা আমজাদ প্রমুখ৷

-এজেড


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ