বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ দাবি আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: মায়ানমারের আরাকানে মুসলমান নারী ও শিশু নির্যাতন এবং নির্বিচারে গণহত্যা বন্ধের দাবী জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম বালাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর বৌদ্ধসন্ত্রাসী ও সরকারী বাহিনী যৌথভাবে সরাসরি হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমান হত্যাকাণ্ড অতীতের যে কোন সময়ের চাইতে মর্মান্তিক। যা বিশ্ব মিডিয়া এড়িয়ে যাচ্ছে। পৈচাশিক আর নির্মমতার কোন নজীর নেই। তারা মুসলমানদের ঘর বাড়ি জ্বলিয়ে দিচ্ছে, নারীদের যৌন নির্যাতন করে হত্যা করছে, মসজিদগুলি জ্বালিয়ে দিচ্ছে, শিশুসহ সব বয়সী মানুষদের দা দিয়ে কুপিয়ে মারছে, এমনকি জীবন্ত মানুষগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতেছে। এরা সন্ত্রাসী, খুনি, এরা মানবতার শত্রু।

তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য সরকরের প্রতি দাবি জানান। বলেন, মায়ানমারের নির্যাতিত মুসলিম মা বোনদের রক্ত নিয়ে যারা হোলি খেলায় মেতে উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। মানবতার শত্রুদের মোকাবিলায় শামিল হোন।

তিনি জাতিসংঘ ও ওআইসিকে মিয়ানমারের এই সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত নিপীড়ন বন্ধের জন্য জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের নেতৃত্বেই চলছে হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ। প্রাণ বাঁচাতে ক্ষুধার্ত রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধরা প্রতিবেশী ভ্রাতৃপ্রতিম মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার জন্য আকুতি জানাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বমোড়ল আমেরিকা, রাশিয়া, জাতিসংঘসহ গোটা দুনিয়ার কাছে বিবেকবান মানুষের প্রশ্ন, মুসলমান হওয়াটাই কি আরাকানের নির্যাতিত নাগরিকদের অপরাধ? যে নির্যাতন আজ আরাকান চলছে তার শতভাগের একভাগও যদি কোনও মুসলিম দেশে অমুসলিমদের ওপর করা হতো তাহলে বিশ্বসংস্থা ও প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের শক্তিধর দেশগুলো এভাবে নীরব ভূমিকা পালন করতো ?

আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী আরো বলেন, হাজার বছর ধরে রোহিঙ্গা মুসলমানরা আরকানে বসবাস করে আসছে। অথচ সামরিক বাহিনী ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীরা তাদের সহ্য করতে পারছে না। তারা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করছে। এদের সাহায্য করুন। তাড়িয়ে দিয়ে আল্লাহর গজব ডেকে আনবে না।

তিনি বলেন, আজ রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু মুসলিমরা তাদের অধিকারহারা। তারা নিজের আবাসভূমিতে নিষ্ঠুর বর্বরতম নির্যাতনের স্বীকার। মানবতাবাদী কোন রাষ্ট্র সাহায্যের হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে না। বিশ্ববিবেক আজ বড় নিষ্ঠুর। উগ্রজাতীয়তাবাদ আর ক্ষমতালিপ্সা মানুষের পাশবিকতাকে কতটা উসকে দিতে পারে, তারই বাস্তবচিত্র আরাকানের অসহায় মানুষের আর্তচিৎকার। কিভাবে উগ্রসাম্প্রদায়িকতা মানুষকে যে পশুতে পরিণত করে তার নিকৃষ্টতম উদাহরণ আজকের মিয়ানমার।

আরকানে মুসলমানের ওপর যে নির্যাতন চলছে তা জাহেলী যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়। এ করুণ পরিস্থিতিতে কোন বিবেকবান ও ঈমানদার মানুষ নিরব বসে থাকতে পারে না। আরকানের অত্যাচারিত মুসলমানদের পাশে দাড়ানো সকল মুসলমানদের ঈমানী ও মানবিক দায়িত্ব।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার আহবান খেলাফত মজলিসের


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ