শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৫ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


মুসলিমরা না থাকলে আমরা বাঁচতাম না: হিন্দু সাধু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতের উৎকল এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা সামনে এনে দিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে। একদল হিন্দু সাধুকে বাঁচালেন স্থানীয় মুসলিমরা। দুর্ঘটনায় ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকে।

উৎকল এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন গোরুয়াধারী ভগবান দাস মহারাজ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও ৬ শিষ্য।

মধ্যপ্রদেশের মোরানা থেকে হরিদ্বার যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। ভগবান দাস জানিয়েছেন, “আমার মনে আছে আমার মাথা সামনের সিটে ঠুকে গিয়েছিল। প্রায় দুটো সিট এগিয়ে পড়েছিলাম আমি। খুব যন্ত্রণা হচ্ছিল। সবদিক থেকে চিৎকার ভেসে আসছিল। যদি ওই এলাকায় মুসলিমরা না থাকতেন, তাহলে আমরা বাঁচতাম না। ওঁরা দুর্ঘটনাস্থলে এসে আমাদের ট্রেন থেকে টেনে বের করে। আমাদের জল এনে দেয়। আমাদের জন্য চিকিৎসকেরও ব্যবস্থা করে। আমরা ওঁদের ওই ব্যবহার ভুলব না।”

ওই দলের ৩ সন্ন্যাসী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের লালা লাজপত রাই মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে৷

আর এক সন্ন্যাসী মণি দাস জানিয়েছেন, “আমরা ভগবানে বিশ্বাস করি। দুর্ঘটনার পর আমরা তাঁর প্রভাব দেখেছি। মানুষ হিন্দু-মুসলিমদের নিয়ে রাজনীতি করে। কিন্তু দুই দলের মধ্যে সবসময় ভালোবাসা থাকে।”

মুজফ্ফরনগরের খাতাউলির কাছে কলিঙ্গ উৎকল এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়। সঙ্গে সঙ্গে মেরঠের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা যেন দুর্ঘটনাগ্রস্তদের জন্য এমারজেন্সি ওয়ার্ড তৈরি রাখেন৷ সন্ন্যাসী হাকিম দাস জানিয়েছেন, “আমাদের বগিতে অনেক শিশু ও মহিলা ছিলেন। আমরা গল্প করছিলাম। হঠাৎ আমাদের বগি উলটে যায়। প্রথমে তো আমরা বুঝতেই পারিনি কী হচ্ছে।”

মেরঠের চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাজকুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, “২৩ জনেরও বেশি আহতকে মেরঠের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৬টি সরকারি ও ২৬টি বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনাস্থলে যায়৷”

সূত্র : কলকাতা২৪


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ