সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

হজের জন্য অল্প অল্প করে জমানো টাকা; বিড়ম্বনায় ভাঙে স্বপ্ন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর যে হাজার হাজার মানুষ সৌদি আরবে হজ পালন করতে যান, তাদের একটি বিরাট অংশই সারাজীবনের উপার্জন থেকে অল্প অল্প করে সঞ্চয় করেন এর অর্থ।

বেশিরভাগেরই থাকেনা বিদেশে যাবার পূর্ব অভিজ্ঞতা।

চলতি বছর বহু বাংলাদেশীর হজযাত্রা নিয়ে যে বিড়ম্বনার খবর আসছে, তাদেরও অধিকাংশই এরকম বাংলাদেশী মধ্যবিত্ত, যারা প্রায় সারাজীবন ধরে আর্থিক, মানসিক ও শারিরীক প্রস্তুতি নিয়েছেন।

তেমনই একজন ঢাকার দনিয়া এলাকার একটি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান। তিনি এবার হজ্বে যাচ্ছেন।

শিক্ষক রাশেদুল হাসান বহু বছর ধরে হজযাত্রার প্রস্তুতি নিয়েছেন।

তার হজযাত্রায় ব্যয় হচ্ছে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মতো। আর সাথে নিয়ে যাবেন সত্তর হাজার টাকার মতো।
"এই টাকা জোগাড় করা সহজ ছিল না। কঠিন ছিল আমার জন্য। অনেক বছর ধরে আমি টাকা জমাচ্ছিলাম। মানুষ ফ্ল্যাট কেনার জন্য টাকা জমায়। আমি হজের জন্য জমাইছি। আমার ইনকাম থেকে প্রতি মাসে এক-দুই হাজার করে টাকা জমিয়েছি"- বিবিসি বাংলাকে বলছিলেন রাশেদুল হাসান।

নিজের বাবার হজ করার ইচ্ছা থেকে রাশেদুল হাসানের তাড়াতাড়ি হজের প্রতি আগ্রহ জন্মায়।
হজ থেকে কত টাকা আয় করে সৌদি আরব?

"আমার আব্বার খুব ইচ্ছা ছিল হজ করবার। তিনিও টাকা জমিয়েছিলেন অনেকদিন ধরে। এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন তিনি। অবসরগ্রহণের শেষ পর্যন্ত লাখখানেক টাকা জমাতে পারলেও শারিরীক অবস্থার জন্য তিনি আর হজে যেতে পারলেন না। এটা ২০০৯ সালের কথা। আব্বার অবস্থা দেখে আমার মনে হলো তাড়াতাড়ি আমাকে যেতে হবে। কারণ আমিও শারিরীক সক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে পারি"- বলছিলেন শিক্ষক রাশেদুল হাসান।

কষ্ট করে টাকা জমিয়ে হজের ইচ্ছা পূরণ করছেন এই শিক্ষক। পরিবারের জন্য দুই মাসের খরচ রেখে হজে যাচ্ছেন মি: হাসান।

"মনের মধ্যে ভিন্ন এক অনুভূতি কাজ করছে। এর আগেতো কখনো বিদেশ যাইনি। তারপর হজ করতে যাচ্ছি। কেমন যে একটা ফিলিংস বুঝানো যাচ্ছে না" -নিজের অনুভূতি এভাবেই প্রকাশ করেছেন শিক্ষক রাশেদুল হাসান।

-বিবিসি বাংলা থেকে

 


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ