আওয়ার ইসলাম: আন্দোলনে পুলিশের টিয়ারশেলে চোখ হারানো শিক্ষার্থী সিদ্দুকুর রহমান বলেছেন, আমার চোখের আলো ফিরিয়ে দিন, সরকারি চাকরির দরকার নেই। প্রয়োজনে আমি যেকোনো কাজ করে খাব।
ভারতের চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয়ে অবস্থান করা সিদ্দিকুর এভাবেই তার বন্ধু শেখ ফরিদের কাছে আকুতি জানান। সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম সিদ্দিকুর দেশে ফেরার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে তার চাকরির ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমানের বাঁ চোখেও দৃষ্টি ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এ ছাড়া আপাতত তাঁর চোখ প্রতিস্থাপনের সম্ভাবনাও ক্ষীণ। ফলে সিদ্দিকুর বেশ বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন বলে জানান শেখ ফরিদ।
তিনি জানান, ১১ জুলাই তাঁর বন্ধু দেশে ফিরবেন। আজ (গতকাল সোমবার) শঙ্কর নেত্রালয়ের ডাক্তাররা তাঁকে দেখেছেন।
বৃহস্পতিবার আবার দেখবেন। আগামী চার-পাঁচ সপ্তাহ চোখে ওষুধ দেওয়া আর পর্যবেক্ষণে রাখা ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা নেই। চোখে আলো ফিরবে কি না, এর পরই তা বোঝা যাবে। দেশের হাসপাতালে রেখেও এ পর্যবেক্ষণ চলতে পারে। তাই সিদ্দিকুরকে দেশে ফিরিয়ে এনে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রাখা হবে।
গত ২০ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা চেয়ে বিক্ষোভের সময় শাহবাগে পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেলের আঘাতে সিদ্দিকুরের দুই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার দিনই তাঁকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকায় অস্ত্রোপচারের পর সিদ্দিকুর রহমানের ডান চোখে দৃষ্টি ফেরার সম্ভাবনা নেই বলে জানান চিকিৎসকরা।
নিভেই যাচ্ছে সিদ্দুকুরের চোখের আলো