মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৯ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
সিভিল ড্রেসে আসামি ধরতে পারবে না পুলিশ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় নতুন প্রস্তাব আসছে : আলী রীয়াজ নবীজিকে নিয়ে কটূক্তি, সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ স্বায়ত্তশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে পরমাণু শক্তি কমিশনের সংবাদ সম্মেলন AAOIFI ও CSBIB এর প্রতিনিধিদলের বৈঠক অনুষ্ঠিত ওয়াকফ বিল বাতিলের দাবিতে খেলাফতের গণমিছিল কাল দুই কলেজ শিক্ষার্থীদের মারামারি, আহত ৭ জন ঢামেকে নৈতিক শিক্ষা এখন কেবল মাদরাসায় পাওয়া যায় : ধর্ম উপদেষ্টা মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনায় স্বেচ্ছাচারিতা: শিক্ষকের সম্মান কোথায়? ফিলিস্তিন ও রোহিঙ্গা ইস্যু বিশ্ব যেন উপেক্ষা না করে : প্রধান উপদেষ্টা

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর অবৈধের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণে সংসদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ করে দেওয়া সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে। আজ সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ।

এর আগে ১ জুন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের অপসারণ-সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শেষ হয়। পরে যেকোনো দিন এ রায় ঘোষণা করার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়। শুনানি শুরু হওয়ার ১১তম দিনের শেষে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখে।

বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন, বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার। গত ৩০ মে দশম দিনের আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরিদের মতামত প্রদান শেষ হয়। মোট ১০ জন অ্যামিকাস কিউরি আদালতে মতামত দিয়েছেন। যার মধ্যে নয়জনই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পক্ষে মতামত দেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের বিধানটি তুলে দিয়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী পাস হয়। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল। ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ৯৬ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন এনে বিচারকের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়। যেটি ১৯৭২ সালের সংবিধানেও ছিল।

সংবিধানে এই সংশোধনী হওয়ায় মৌল কাঠামোতে পরিবর্তন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ করবে, এমন যুক্তিতে ওই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একই বছরের ৫ নভেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর রুল জারি করেন। গত বছরের ১০ মার্চ মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি শেষে ৫ মে রায় দেয় আদালত।

-এজেড


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ