শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


দাওরায়ে হাদিসে মেধা তালিকায় ২য় জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া; গভীর পাঠেই সাফল্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: কওমী মাদরাসার সম্মীলিত শিক্ষা বোর্ড আল-হাইআতুল উলয়ার অধীনে দাওরাযে হাদীসের (মাস্টার্স সমমান) প্রথম কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় ঢাকার মুহাম্মদপুরের জামিয়াতুল উলূমিল ইসলামিয়া অসাধারণ ফলাফল করেছে।

জানা যায়, চলতি বছর এখান থেকে ৫১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২৯ জন মুমতায, ১৯ জন প্রথম বিভাগ আর বাকি ৩ জন দ্বিতীয় বিভাগ লাভ করেন। এর মধ্যে হানিফ আহমদ মেধা তালিকায় ৪র্থ স্থানসহ মোট ১১ জন তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

গত ২৫ জুলাই দাওরায়ে হাদিসের ফল প্রকাশ করা হয়। আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়ার ৪০ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মেধাতালিকার সংখ্যার দিক থেকে জামিয়াতুল উলূমিল ইসলাম অবস্থান দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে রয়েছে ফরিদাবাদ ১৫ জন। দ্বিতীয় জামিয়াতুল উলূম ১১ জন আর তৃতীয় মাদানী নগর মাদরাসা ৮ জন। ৭ জন মেধা তালিকায় স্থান করে বাইতুল উলুম ঢালকানগর রয়েছে ৪র্থ স্থানে।

১০ম শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ইংলিশ বিজ্ঞান যুক্ত করে এক বিশেষ শিক্ষা কারিকুলাম নিয়ে ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জামিয়াতুল উলূম। প্রথম শিক্ষাবর্ষেই ইবতিদাযী প্রথম বর্ষ থেকে দাওরাযে হাদীস পর্যন্ত ক্লাস শুরু হয়। মাত্র এগারো বছরে কিভাবে জামিয়া এ উচ্চতায় পৌঁছল এমন প্রশ্নের উত্তরে জামিয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা তাহমীদুল মাওলা বলেন, এর পেছনে রয়েছে জামিয়ার মুহতামিম মুফতি মাহমুদুল হাসান ও তার বিজ্ঞ সহকর্মীদের ইখলাছ ও দায়িত্ব সচেতনতা। আলহামদুলিল্লাহ তাদের দেখেছি তারা প্রদর্শনী ও প্রচার আয়োজনের চেয়ে নীরবে কর্ম করে যাওয়াকেই সবসময় বেশি প্রাধান্য দেন। আমার মনে হয় ভাড়া বাড়িতে থেকে জামিয়ার অবস্থান তাই প্রমাণ করে। আল্লাহ তাআলা তার খাছ মেহেরবাণীতে জামিয়ার এ ধারাবাহিকতায় আরো উন্নতি দান করেন।

তিনি বলেন, মাদরাসার সাফল্যের পেছনে প্রধান ভূমিকা রয়েছে বিজ্ঞ উস্তাদদের নির্দেশনামত ছাত্রদের অধ্যয়নমুখিতা। জামিয়ার শাইখুল হাদীস মারকাযুদ দাওয়ার মাওলানা আবুল মালেক, যশস্বী মুহাদ্দিস মাওলানা আব্দুল মতীন, বিখ্যাত লেখক গবেষক শাইখুল হাদীস মাওলানা আবুল বাশার ও মাওলানা আব্দুল গাফ্ফারসহ অন্যান্য বিজ্ঞ উস্তাদগণ সবসময়ই ছাত্রদের পরীক্ষাগাইড ও নোট সদৃশ উর্দু শরাহ সম্পূর্ণ পরিহার করে আরবী ও মৌলিক ব্যাখ্যা গ্রন্থ পড়তে উৎসাহিত করেন। ভাসাভাসা পড়াশোনা বাদ দিয়ে সবসময় গভীরভাবে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। তারা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন ছাত্রদের ফিকর ও মনন তৈরিতে।

যে কারণে মেধা তালিকায় বরাবরই শীর্ষে বাইতুল উলুম ঢালকানগর

‘কঠোর পরিশ্রমেই শীর্ষে রামপুরা জাতীয় মহিলা মাদরাসা’


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ