শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ বেফাকের ৪ কর্মীকে অব্যহতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ ৪ কর্মীকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। বেশকিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ তাদের অব্যহতি দেন বলে জানা গেছে।

অব্যহতি দেয়া ৪ জন হলেন, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা আবদুল জলীল, কম্পিউটার বিভাগের কর্মী রবিকুল হাসান, ফারুক আহমদ ও শাকির আহমদ।

বেফাকের সহ-সভাপতি আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ আওয়ার ইসলামকে তাদের অব্যহতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তাদের ব্যাপারে সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ওভারটাইম বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আল্লামা আনোয়ার শাহ বলেন, ‘আমরা তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছি। তাদের মিটিংয়ে ডেকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। বেফাকের স্বার্থে আমরা তাদের ছাটাই করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দুটো সুযোগ দিয়েছিলাম। এক. তারা নিজেরা অব্যহতি দিয়ে চলে যাবে। তাহলে তারা গ্রাচুয়েটি পাবে। দুই. না হলে কর্তৃপক্ষ তাদের অব্যহতি দেবে। কিন্তু গ্রাচুয়েটি পাবে না। মাওলানা আবদুল জলীল প্রথম সুযোগটি গ্রহণ করেছেন এবং অন্যদের অব্যহতি দেয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেফাকের কর্মীদের মধ্যে চলছে সুদ্ধি অভিযান। অসততা যাচাইয়ের জন্য ইতোমধ্যে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদেরও ছাটাই করা হবে বলে জানা গেছে।

তিন সদস্যের ওই কমিটি বেশ কিছুদিন ধরে যাচাই বাছাই করছেন। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে বুধবার (২৬ জুলাই) একটি মিটিং হওয়ারও কথা রয়েছে। তবে তিন সদস্যের কমিটিতে কে কে আছেন সে তথ্য পাওয়া যায়নি।

বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস ৪ কর্মকর্তার অব্যহতির ব্যাপারটি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘তাদের অব্যহতি দিয়েছে নির্বাহী কমিটি। কারো একক কোনো সিদ্ধান্তে তা হয় নি।’

তিনি তিন সদস্যের কমিটির কথা স্বীকার করে বলেন, তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম এখন গোপন রাখতে হচ্ছে।

মাওলানা আবদুল কুদ্দুস আরও জানান, ‘তাদের এক মাসের বেতন ও কিছু ওভার টাইম বাকি আছে। এগুলো খুব শিগগির পরিশোধ করা হবে।’

এদিকে অভিযোগগুলো নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে গতকাল থেকে মাওলানা আবদুল জলীলের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। সহকর্মীদের এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, এখান থেকে চলে যাওয়ার পর থেকেই তার মোবাইল নম্বর বন্ধ।

একজন হাফেজে কুরআন! যিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী

ইসলামি দলের শীর্ষ নেতারা কে কোথায় নির্বাচন করবেন? (২য় পর্ব)

আরআর


সম্পর্কিত খবর