শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


চাকরি জাতীয়করণ ও সংসদে ১০ পার্সেন্ট আসন সংরক্ষণের দাবি শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণ ও জাতীয় সংসদে শিক্ষকদের জন ১০ পার্সেন্ট আসন সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোট।

আজ সোমবার ১৭ জুলাই সকাল ১১টায় বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড ও শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাষ্টের জন্য শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন টাকা থেকে ১০% টাকা কর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সংগঠনের নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়া বলেন, ২০০২ সালের পূর্বে যে সকল শিক্ষক-কর্মচরী অবসরে যেতেন তাদের কোন অবসর ভাতা দেওয়া হতো না। ২০০২ সনে তৎকালীন সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর ভাতা চালু করা হয়। সরকার তখন অবরস সুবিধা বোর্ডে ৮৯ কোটি টাকা প্রদান করে এই সুবিধা চালু করেন।

পরবর্তীতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে কল্যাণ ট্রাষ্টের জন্য ২% এবং অবসর ভাতার জন্য ৪% মোট ৬% শিক্ষকদের বেতন থেকে প্রতি মাসে কর্তন করার গেজেট প্রকাশ করে যা মহান জাতীয় সংসদে পাশ হয়।

কিন্তু দূর্ভাগ্য হলেও সত্য অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে টাকা পেতে হলে এখন রাজনৈতিক পরিচয় লাগে, সরকারি দলের মন্ত্রী, এমপিদের সুপারিশে তারা আবেদন জমা দিয়েই টাকা নিয়ে যায়। বিষয়টির আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।

তিনি বলেন, এ অবস্থায় হঠাৎ করে অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাষ্টের জন্য ১০% চাঁদা কেটে নেয়ার আদেশ জারী হওয়ায় আমরা বিস্মিত হয়েছি।

এতদিন ৬% টাকা দিয়ে এই সুবিধা দেয়া হতো। এখন অতিরিক্ত ৪% টাকা শিক্ষকদের প্রকৃত প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা না করে নাম সর্বস্ব ও প্যাড সর্বস্ব শিক্ষক সমাজে অপরিচিত তথাকথিত নেতাদের সাথে আলোচনা করে কর্তন করা অযৌক্তিক, অমানবিক ও অন্যায়। আমরা এই টাকা কেটে নেয়ার সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়া বলেন, রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করতে হলে মহান জাতীয় সংসদে শিক্ষকদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকতে হবে। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো রাজনীতির বাইরে থেকে যে সকল ব্যক্তিদের টেনে নিয়ে আসেন তাদের মধ্যে এমন ব্যক্তিও আছেন যারা কেউ কেউ স্কুলের গণ্ডিও পার হতে পারেনি। কিন্তু তাদের অর্থ-বিত্তের প্রভাবে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দলে নিতে আকৃষ্ট হয়। ইহাতে রাজনীতির গুণগত মান কি হয় তা আমরা সকলেই অবগত।

শিক্ষকদের অর্থবিত্ত না থাকলেও সমাজে গ্রহণযোগ্যতা আছে। তারা সন্ত্রাসী ও গডফাদার তৈরী করবে না। তাই দেশের প্রয়োজনে মহান জাতীয় সংসদে ১০% আসন শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি।

চাকরি জাতীয়করণ, ৫% বর্ধিত বেতন, বকেয়া বৈশাখী ভাতা প্রদান, রাজনৈতিক হয়রানি বন্ধ করা, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, নন এমপিও শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তিকরণ, চাকরি জাতীয়করণসহ সকল দাবি ২৩ জুলাইয়ের মধ্যে পূরণের জন্য সরকারের নিকট আবেদন জানাচ্ছি। অন্যথায় ২৪ জুলাই থেকে ধারাবাহিক আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।

ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৪ জুলাই সকল জেলা সদরে বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মানববন্ধন, ২৫ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়, ১-১২ আগস্ট পর্যন্ত স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সাথে মতবিনিময়, ২০-২৫ আগস্ট পর্যন্ত অভিভাবক ও সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময়, ১০ সেপ্টেম্বর সকল বিভাগীয় সদরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা।

সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূইয়ার সভাপতিত্বে এত আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা মো. জাকির হোসেন, অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেন, অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিয়া, অধ্যাপক আব্দুল হাকিম, কাজী মাঈনুদ্দিন, গোলাম হোসেন সোহেল, অধ্যক্ষ জয় রহমান, সাহাদাৎ হোসেন, মোল্লা নজরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন মোর্শেদ, মালা বেগমসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ