বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারকে দলীয় পদ থেকে অব্যহতির সুযোগ দেয়া উচিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, যখন যারাই সরকার গঠন করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয় তাদের উচিত রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারকে নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় পদ থেকে অব্যহতি দেয়া।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারের পদ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূ্র্ণ দুটি নিরপেক্ষ অঙ্গ।  রাষ্ট্রপতি ও স্পিকারকে নিরপেক্ষভাবে অর্পিত দায়িত্ব পালনে দলীয় পদ থেকে অব্যহতি নেয়ার সুযোগ প্রদান করা তাদের নৈতিক অধিকার।

ব্যারিস্টার মওদুদ  বলেন, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ অভিভাবক পদের দুই ব্যক্তিকে দলীয় গন্ডির সীমাবদ্ধতায় আটকে রাখা কোনো মতেই ঠিক নয়।

আজ শনিবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আদর্শ নাগরিক আন্দোলন এর ঈদ পুনর্মিলনী উপলক্ষে আয়োজিত ‘গুম-খুন-অপহরণ: শঙ্কিত নগরিক সমাজ শীর্ষক’ গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিগত ১০ মাসে দেশে ১১৮টি বিচার বহির্ভূত হত্যাকা- ঘটেছে। এই সরকারের আমলে দেশে ক্রসফায়ারে মৃত্যু হয়েছে ১৩৭ জন, গুম ৩৭ জন, ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৬৯৭ জন নারী ও শিশু। এই সকল অপকর্মের পেছনে সরকারদলীয় লোকজন জড়িত রয়েছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলে তারা অসাম্প্রদায়িক দল। কিন্তু তাদের আমলে সংখ্যালঘুদের উপর নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।

আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহনূর ইসলাম শাহীন এর সঞ্চালনায় বৈঠকে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারা ভাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, স্বাধীনতা ফোরামের চেয়ারম্যান আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ, নাগরিক ফোরামের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহিল মাসুদ, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, এনডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা।

বিশেষ অতিথির আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আগে জানলে আমি নৌকায় চড়তাম না। কিভাবে ২১ ঘন্টা আমি নিখোঁজ ছিলাম তা আপনাদের সবার জানা আছে। এই বর্ণনা আমি বলে বোঝাতে পারবো না। না বুঝেই নৌকায় উঠে পড়েছিলাম। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল যে নৌকা থেকে নেমেছে আমি বোকা না হলে সে নৌকায় কেন উঠবো।

মাহী বি চৌধুরী বলেন, অতীতে আমরা হাসিনার শাসন দেখেছি খালেদার শাসন দেখেছি এখন আবার হাসিনার শাসন দেখছি আগামীতে আর খালেদার শাসন দেখতে চাই না। প্রয়োজনে খালেদার নেতৃত্বে আইনের শাসন দেখতে চাই।

তিনি বলেন, এ সরকার ভোটবিহীন, প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। তারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। সেজন্য সরকারে টিকে থাকতে আজ শক্তি ও ক্ষমতা প্রয়োগ করছে।

মাহী বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে ইলিয়াস আলীর সন্তানদের মতো বাবার ছবির দিকে কাউকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। আইভি রহমান, আহসানউল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়াদের জীবন দিতে হবে না।

তিনি বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে, মন্ত্রীর উল্টাপথে চলা বন্ধ হবে, মন্ত্রীর ভাতিজার টেন্ডারবাজি বন্ধ হবে, ওসি দাবড়ানো, রাতে ছোট দলগুলোর চায়ের দাওয়াতের অনুষ্ঠান পুলিশ দিয়ে পাকড়াও করাও বন্ধ হবে।বন্ধ হবে মাজার জিয়ারত না করার অজুহাতে রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসনের মাধ্যমে পদচ্যুত করাও

তিনি আরো বলেন, যে দলে আদর্শ সন্তানের গুরুত্ব রক্তের সম্পর্কের সন্তানের চেয়ে বেশি হবে না, সে দল আইনের শাসনের দল নয়। তাদের দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে না।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরুজ্জামান, ইসলামী পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি ক্যাপ্টেন ড. রেজাউল করিম চৌধুরী, সংগঠনের সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, কামাল উদ্দিন ইসমাইল, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুফতি শফিকুল ইসলাম সুজন, সদস্য শামীম হোসেন, জিয়াউল হক, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ