শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ২৫ মাঘ ১৪৩১ ।। ৯ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
তীব্র বাতাস ও প্রবল বৃষ্টিতে গাজায় বড় ভোগান্তি রংপুরে তুলার কারখানায় আগুন, অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে পাল্টা তলব ভারতের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছে বিএনপি টানা ৬০ দিন, জামাতে নামাজ পড়ে ২০ কিশোরের পুরস্কার লাভ আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয়: মুফতি ফয়জুল করীম ওমরাহ পালনে মেনিনজাইটিস টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে সন্ত্রাসীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন: প্রধান উপদেষ্টা বাকৃবির বঙ্গবন্ধু হলের নাম ‘মাওলানা ভাসানী’ রাখলেন শিক্ষার্থীরা

মসজিদ থেকে বের করে ইমামকে নির্যাতন করলো বজরং দল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : এবার কাশ্মীরের এক মসজিদের ইমামকে নির্যাতন করলো উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বজরং এর সদস্যরা। মসজিদ থেকে ওই ইমামকে টেনে-হিচঁড়ে বের করে এনে নির্যাতন করা হয়।

কাশ্মীরে অমরনাথে যাত্রীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বুধবার বজরং সদস্যরা মিছিল করে। মিছিলের সময় তারা হিসারের জামে মসজিদের ইমামকে জোর করে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনে। সেখানে তারা ইমামকে 'জয় শ্রী রাম', 'জয় মাতা কি' স্লোগান উচ্চারণ করতে বলে। কিন্তু ইমাম তা না করায় তাকে মারপিট করা হয়।

৩০ বছর বয়সী মুহাম্মদ হারুন তার ওপর হওয়া বর্বরোচিত আচরণের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, বজরং দলের কর্মীরা আমাকে মসজিদের ভেতর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে আসে। তারপর তারা আমাকে জোর করে 'জয় শ্রী রাম', 'জয় মাতা কি' স্লোগানগুলো উচ্চারণ করতে বলে। যেটা আমার ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। আমি ভয় পেয়েছিলাম। চুপ করে দাঁড়িয়েছিলাম। এরপর বজরং দলের কর্মীরা আমাকে একের পর এক চড় মেরেছেন। আমি চুপ ছিলাম।

কাশ্মীরের স্বাধীনতার প্রশ্নে প্রতিশ্রুত গণভোটের দাবি জানালো ওআইসি

হারুনের অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত অনিল (৩০) নামের এক বজরং সদস্যকে গ্রেফতার করেছে হিসারের পুলিশ।

কাশ্মীরের অনন্তনাগে অমরনাথ যাত্রীদের ওপর সন্ত্রাস হামলার প্রতিবাদে বুধবার মিছিল করেছে বজরং দল। পুলিশের দাবি এই মিছিল চলাকালীনই হিসারের জামা মসজিদের কাছে চড়াও হয়ে এই কাণ্ড ঘটায় বজরং দলের কর্মীরা।

অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার পর হিসারের এসপি মণীশ চৌধুরী জানিয়েছেন, ৩০ বছরের অনিল ওই অঞ্চলেরই বাসিন্দা, সামনেই একটি বাজারে দোকান রয়েছে তার। ভাইরাল হয়ে যাওয়া ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।

অভিযুক্ত অনিশ জেরায় স্বীকার করেছে, 'ভারত মাতা কি জয়' বলতে বলা হলে, শাহী ইমাম তা বলেননি, তাই তিনি চড় মেরেছেন।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ