শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ।। ২৫ মাঘ ১৪৩১ ।। ৯ শাবান ১৪৪৬

শিরোনাম :
আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আলেম সমাজের ভূমিকা অবিস্মরণীয়: মুফতি ফয়জুল করীম ওমরাহ পালনে মেনিনজাইটিস টিকা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা বাতিল শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে সন্ত্রাসীদের সক্রিয় করার চেষ্টা করছেন: প্রধান উপদেষ্টা বাকৃবির বঙ্গবন্ধু হলের নাম ‘মাওলানা ভাসানী’ রাখলেন শিক্ষার্থীরা ‘পরাধীনতার কারণেই বাংলাদেশের মানুষ দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করেছে’ ‘ফ্যাসিবাদের পাতানো ফাঁদে পা দেয়া যাবে না’ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ মানিকগঞ্জ জেলা কমিটি গঠন নারায়ণগঞ্জ জেলায় এডুকেশন গাইডলাইন মজলিস অনুষ্ঠিত  সৌদি আরবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন করা যেতে পারে: নেতানিয়াহু

বাংলাদেশে আসছেন পোপ ফ্রান্সিস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে চলতি বছরের নভেম্বরে বাংলাদেশে আসছেন রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্ট ধর্মীয় সর্বোচ্চ নেতা ও প্রধান ধর্ম গুরু পোপ ফ্রান্সিস
বাংলাদেশে ভ্যাটিক্যানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি পোপের বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পোপকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান ও মর্যাদা দেয়া হবে। খবর ইত্তেফাক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় দেড় বছর ধরে পোপের বাংলাদেশ সফর নিয়ে আলোচনা চলছিল। পোপও বাংলাদেশে আসার সুবিধাজনক সময় খুঁজছিলেন। অবশেষে নভেম্বরে তার সফরসূচি নির্ধারিত হয়। ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফর করবেন।
বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক ও উদার বহুত্ত্ববাদী বৈশিষ্ট্য পোপ’কে বাংলাদেশ সফরে আগ্রহী করে তুলেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় চার লাখ ক্যাথলিক খ্রিস্টান বসবাস করছে এবং একজন কার্ডিনাল রয়েছেন।
ভ্যাটিক্যান রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি বলেন, পোপের বহুল প্রত্যাশিত সফরটি হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণের পর আমরা অনেকদিন ধরে সফরটি চূড়ান্ত করতে কাজ করেছি। এর আগে ১৯৮৬ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল প্রথম বাংলাদেশ সফর করেছিলেন।
তিনি বাংলাদেশের উন্নয়ন আর ধর্মনিরপেক্ষ বৈশিষ্ট্য দেখতে আগ্রহী। ঋতুর বৈচিত্র্য বিবেচনায় সবচেয়ে অনুকূল সময় হিসেবে নভেম্বরকেই বেছে নেয়া হয়েছে। সহসাই সফরের বিস্তারিত সূচি চূড়ান্ত হবে।
পোপ ফ্রান্সিস ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ ২৬৬তম পোপ নির্বাচিত হন। পোপ হওয়ার পর তিনি তার বিনয়ী ভাবমূর্তির জন্য সারা বিশ্বের নজর কেড়েছেন। তিনি দায়িত্বহীন উন্নয়নের যেমন বিরোধিতা করে আসছেন তেমনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় গৃহিত পদক্ষেপেও সমর্থন যুগিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক কূটনীতির অংশ হিসেবে তিনি যুক্তরাষ্ট্র-কিউবা পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করেছেন। একইসঙ্গে অভিবাসন সংকট নিয়েও সোচ্চার তিনি।
পোপ ফ্রান্সিস গত বছরের অক্টোবরে নতুন ১৭ ধর্মযাজককে কার্ডিনাল মনোনীত করেন যার মধ্যে বাংলাদেশের আর্চবিশপ প্যাট্রিক ডি রোজারিও রয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে তিনিই প্রথম কার্ডিনাল হন। অর্থাৎ পরবর্তী পোপ নির্বাচনে একজন বাংলাদেশিও ভোট দেবেন। এই কার্ডিনালদের মধ্য থেকেই পরবর্তী পোপ নির্বাচিত হবেন।
এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ