আওয়ার ইসলাম : নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনতার প্রতি সংহতি জানাতে সমবেত হয়েছে বিশ্বের মুসলিম-অধ্যুষিত ৩০টিরও বেশি দেশের তরুণ প্রজন্ম। শনিবার তুরস্কের বাণিজ্যিক রাজধানী ইস্তাম্বুলে জড়ো হয়েছেন ওইসব দেশের তরুণ সংগঠন ও শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ইউনিয়নের সদস্যরা।
নিজস্ব ভূখণ্ডের সুরক্ষায় ফিলিস্তিনি জনগণ যে প্রতিরোধ জারি রেখেছে, তার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতেই দুইদিনের এক সম্মেলনে জমায়েত হয়েছেন তারা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার দাবিকে বিশ্বের প্রতিটি মুসলিম নাগরিকের মনে জিইয়ে রাখতেই এই সমাবেশ। সমাবেশে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশি তরুণেরাও।
শনিবার থেকে শুরু হওয়া সম্মেলনটি আয়োজক তুরস্কভিত্তিক আনাদোলু ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন, ইন্টারন্যাশনাল কোয়ালিশন অব ইয়ুথ এবং স্টুডেন্ট ইউনিয়নস টু সাপোর্ট প্যালেস্টাইন।
বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা পেল ফিলিস্তিনের হেবরন শহর
হাইআতুল উলয়ার শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত: এসেছে গুরুত্বপূর্ণ ৩ সিদ্ধান্ত
উদ্বোধনী ভাষণে আনাদোলু অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সালিহ তুরান বলেন, ‘ফিলিস্তিন, আল-কুদস এবং আল-আকসা মসজিদকে আলোচ্যসূচির শীর্ষে রেখে আমরা দ্বিতীয়বারের মতো এ সম্মেলনের আয়োজন করছি। গোটা মুসলিম বিশ্বের তরুণ; যাদের ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি একইরকমের অনুভূতি রয়েছে তাদেরকে প্রতিনিধিত্ব করছি আমরা।’
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী জনতার স্বাধীনতার প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন জারি রয়েছে। সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য নীতির বদল হলেও এই নীতি থেকে বাংলাদেশ কখনও সরে আসেনি। সম্মেলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে সেই বাংলাদেশের তরুণরাও।
সেখানে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থী আম্মার হোসেন জানান, ‘ফিলিস্তিনি ইস্যুতে সর্বশেষ তথ্য সম্পর্কে অবহিত হতে এবং এ ব্যাপারে জানাশোনা বাড়ানোটাই এ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার মূল কারণ। ফিলিস্তিনি ইস্যু এবং আমাদের সহায়তা ও সমর্থনের অপেক্ষায় থাকা অন্য প্রতিবেশী মুসলিম দেশ নিয়ে মুসলিম তরুণদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এ ধরনের সম্মেলন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
সূত্র : আল জাজিরা