অাওয়ার ইসলাম : নির অপর নাম জীবন! পানি ছাড়া মানুষের কোনভাবেই চলেনা! সেই পানি পান করাতেও আছে অফুরন্ত নেকী! আমরা জানিনা বলেই অফুরন্ত নেকী অর্জন করতে পারিনা! মহান আল্লাহ আমাদেরকে তার অফুরন্ত নেয়ামত দিয়ে লালন-পালন করেছেন আমরা সেই নেয়ামত ভোগ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে সচেষ্ট হই!
হাদিসে বর্ণিত আছে রাসূলে আকরাম সা. এরশাদ করেছেন যে, ”কারও দাঁড়িয়ে পানি পান করা উচিৎ নয়। যদি কেউ ভুলে যায় তাকে অবশ্যই বমি করতে হবে।” কেননা দাড়িয়ে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরাও তাদের গবেষণায় পেয়েছেন দাড়িয়ে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। শীত হোক বা গ্রীষ্ম, শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকা বা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা উচিত। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি মানুষের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তাই পানি এমন ভাবে খাওয়া উচিত, যাতে শরীরের যথেষ্ট পরিমাণে পানি থাকে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, দাঁড়িয়ে পানি খাওয়া উচিত নয়। এমনকী, আপনি কী ভাবে পানি খাবেন, তার ওপরে নির্ভর করে সারা দিন আপনার শরীর কেমন থাকবে।
পানি খাওয়ার সময়ে, পানি ঠান্ডা না গরম তার ওপরে নজর দেওয়া হয় না। কিন্তু পিপাসা নিবারনের জন্য অনেক সময়েই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি পানফেলি আমরা অনেকেই। দাঁড়িয়ে পানি পানের সময়ে, স্নায়ু অনেক বেশি উত্তেজিত থাকে। শুধু দাঁড়িয়ে পানি খাওয়াই নয়, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে কী গতিতে পানি খাবেন তার উপরেও নির্ভর করছে আপনার স্বাস্থ্য। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পানি খাওয়ার সময়ে পানি খাওয়ার গতি অনেক বেড়ে যায়। এর ফলেই বাতের ব্যাথা বা জয়েন্ট পেন-এর শিকার হতে হয়।
আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডঃ ধনবানত্রি জানিয়েছেন, এই প্রত্যেকটি খাবারই ধীর গতিতে খাওয়া উচিত। এতে খাবার সহজে হজম হয়। ধীর গতিতে পানি না খেলে, খাদ্যনালীতে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে, হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া বা ফুসফুসের রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। দৌড়ে এসে বা খুব পরিশ্রম করার পরে সঙ্গে সঙ্গে পানি খেলেও ফুসফুসের সমস্যা হতে পারে। তাই এবার থেকে পানি খাওয়ার সময়ে, কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে পানি খান।
-এজেড