শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫


কাদিয়ানীদের সাথে আমাদের সম্পর্ক খুবই মধুর: মোদি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ইসরাইল সফরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেখানকার কাদিয়ানী বা আহম্মাদিয়া গ্রুপের ‍সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

মোদি সেখানকার কাদিয়ানী নেতাদের বলেন, ভারতের কাদিয়ানীদের সাথে আমাদের সম্পর্ক খুবই মধুর। এই শুনে ইসরাইরের কাদিয়ানী গোষ্ঠীর নেতারা মোদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইসরাইলের বিন গুরিয়েন বিমানবন্দরে নামলে সেখানেই তাকে স্বাগত জানান সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনিই সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন কাদিয়ানীদের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে। অর্থাৎ বিমাননবন্দরেই কাদিয়ানীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় হয় মোদির।

এ সময় উচ্ছ্বসিত ও হাসিমুখে তারা পরস্পরকে বুকে জড়িয়ে আলিঙ্গন করেন। আর পাশে দাঁড়িয়ে কাদিয়ানী নেতাদের মোদির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন নেতানিয়াহু। ভারতীয় কাদিয়ানীদের পাশে থাকা ও সহযোগিতার জন্য মোদিকে কবশেষভাবে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই ইসরাইলের কাদিয়ানী নেতৃত্ব।

উল্লেখ্য, কাদিয়ানীরা কোনওকালেই ইসলাম বা মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তাদেরকে ইসলাম বিরোধী শক্তি বলে মনে করা হয়। মুসলিম দেশগুলো তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা দিয়েছে। অনেক দেশ আবার অমুসলিম সংখ্যালঘু হিসেবে গণ্য করে কাদিয়ানীদেরকে। আর অমুসলিম বিধায় তারা হজ্ব করতে পারে না। কাদিয়ানীরা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করলেও, তারা মির্জা গোলাম আহমাদকে নবী বলে মানে এবং স্বভাবতই তারা উম্মতে মুহাম্মদি থেকে খারিজ হয়ে গেছে। কারণ, কুরআনের বর্ণনা অনুযায়ী সমগ্র মুসলিম দুনিয়া হযরত মুহাম্মাদ সা. শেষ নবী হিসেবে মানেন।

১৮৩৫ সালে পাঞ্জাবের গুরদাসপুরে জন্ম নেয়া মির্জা গোলাম আহম্মদ নিজেকে নবী বলে দাবি করে এবং আহম্মাদিয়া বা কাদিয়ানী নামে নতুন ধর্ম প্রতিষ্ঠা ও প্রচার শুরু করে। অথচ এরপরেও কাদিয়ানিরা নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবি করে। তাদের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ হল, শুরু থেকেই পশ্চিমা মদদপুষ্ট কাদিয়ানিরা আসলে ইসলাম বিরোধী কাজের আঞ্জাম দিয়ে চলেছে। ঘোষিত মুসলিম ও ইসলাম বিরোধী ইসরাইল বন্দরনগরী হাইফায় বিরাট সুযোগ সুবিধা দিয়ে কাদিয়ানিদের পৃষ্ঠপোষকতা করে চলেছে।

উল্লেখ্য, পবিত্র কুরআনে স্পষ্ট বলা হয়েছে, হযরত মুহাম্মদ সা. দিয়ে নবুয়তের সিলসিলা খতম করা হয়েছে।

তার মাধ্যমেই আল্লাহ তায়ালা ইসলামকে পরিপূর্ণতা দান করেছেন। তার পর কিয়ামত পর্যছন্ত আর কোনও নবী আসবে না। যদিও মহানবী সা. এর আগের নবী হযরত ঈসা আ. কে আরেকবার দুনিয়ায় পাঠাবেন আল্লাহ।

কিন্তু তিনি পূনরায় নবী হিসেবি নয়, আসবেন উম্মতে মুহাম্মাদী হিসেবে এবং তিনি ইসলামের দাওয়াত ও প্রচার-প্রসারের কাজ করবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে কুরআনে।

সূত্র: পূবের কলম, ইন্ডিয়া

মোদিকে যেভাবে রাতের নিরাপত্তা দিচ্ছে ইসরায়েল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ