মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১০ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫


শব্দ দূষণ রুখতে ৩০ বছর হর্ন বাজাননি কৈলাস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

তিনি বছর দেড়েক বিদেশে ছিলেন এই ‘সাইলেন্ট ক্রুসেট’৷বিলেতের শিক্ষার অনেকটাই সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন কলকাতায়৷ যার মধ্যে একটা ছিল নো হর্ন৷ বড়বাজারের এই ব্যবসায়ীর সওয়ারসঙ্গী বলতে একটি মোটর বাইক আর একটি চার চাকা গাড়ি৷ কলকাতা কিংবা কলকাতার বাইরে এই দুটির মধ্যে যে কোনও একটি ভরসা তাঁর৷ আর এই দুটি গাড়িরই সামনে পিছনে লেখা আছে, ‘please give a second thought before blowing the horn. It is really required?’ ( হর্ন বাজানোর পূর্বে এক সেকেন্ড ভাবুন: আসলেই কী এর প্রযোজন আছে ? ) একদম শেষে নিজের নাম ও ফোন নম্বর লেখা৷

কৈলাস মোহতা বলেন, আমি ১৯৮৭ সালে আমেরিকা চলে যাই৷ দেড় বছর ওখানে ছিলাম৷ মাঝে মধ্যেই ওখানে গাড়ি চালাতাম৷ বিদেশে হর্ন বাজানো হয় না৷ সেই অভ্যাসটাই আমার মধ্যে রয়ে গিয়েছিল৷ ১৯৮৯-এ আমি দেশে ফিরে আসি৷ সেই থেকে এখনও আমি হর্ন না বাজিয়েই গাড়ি চালাই৷

তিনি বলেন, যখন সিগনালে লাল বাতি জ্বালানো থাকে তখন সবাই ধৈর্য ধরে দাঁড়িয়ে থাকে৷ কিন্তু যেই সিগনাল সবুজ হয়ে যায় তখনই সবার তাড়াহুড়ো লেগে যায়৷ জোড়ে জোড়ে হর্ন বাজাতে থাকে৷ কিন্তু আমার মনে হয় হর্ন বাজিয়ে কেউ তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছে যেতে পারে নি ৷

শিক্ষা ছড়িয়ে দেওয়াই যে এদেশের সংস্কৃতি সেটা জানেন কৈলাস মোহত৷ তাই হর্ন নিয়ে অনান্য চালকদের সচেতন করতে একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থাও খুলেছেন তিনি৷ গোটা শহরে ঘুরে ঘুরে চালকদের হাতে ওই মেসেজ লেখা পোস্টার তুলে দেওয়া হয়৷
কৈলাসজি স্বপ্ন দেখেন তাঁর শহরও একদিন ‘নো হর্ন সিটি’ হবে৷ তাঁর দেশও একদিন ‘নো হর্ন কান্ট্রি’ হবে৷ সেই স্বপ্ন সফল করতে পরিশ্রমী দুটি হাত দিয়ে সচেতনতার শিক্ষা ছড়িয়ে দিচ্ছেন কলকাতা জুড়ে৷

-এজেড


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ