শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫


বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে হবে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: পিছিয়ে থেকে নয় বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে টিকিয়ে রাখতে সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী ও আধুনিক করে গড়ে তোলার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই এবং আমরা চাই না কোনো কিছুতেই পিছিয়ে থাকি। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আমরা সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক এবং শক্তিশালী করে গড়ে তুলছি। ’

গতকাল বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের পিজিআর (প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট) সদর দপ্তরে বাহিনীর ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এতে পিজিআর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর হারুন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের আহবানে দেশের মানুষ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী মিলে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়ছে, তাতে বাংলাদেশে কোনোভাবেই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের স্থান হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়লেও বাংলাদেশ সফলভাবে তা মোকাবেলা করছে। সবাই মিলেই কিন্তু এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে অত্যন্ত সফলতা অর্জন করেছি, যা বিশ্বব্যাপী একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই ধারাটা আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে কোনোমতেই বাংলার মাটিতে কোনো রকম জঙ্গিবাদের স্থান না হয়। ’

জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণের মতো মাদক নির্মূলেও সফলতা আশা করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এখন আরেকটা সমস্যা দেখা দিয়েছে মাদক। এই মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের পদক্ষেপ আমরা নিচ্ছি। এই পদক্ষেপেও আমরা সফলতা অর্জন করতে পারব। ’

সরকারপ্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা কাজ করে যাব, যাতে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে দেশ পেয়েছি, সে দেশ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। ’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখবে, উন্নত জীবন পাবে। মানুষের মতো মানুষ হবে। এটাই আমরা চাই। ’

প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট সদস্যদের নিজের পরিবারের সদস্য হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারপ্রধান হিসেবে এ রেজিমেন্টের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ’ তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রতিষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট কালের আবর্তে আজ স্বমহিমায় উজ্জ্বল ও ঐতিহ্যে ভাস্বর। সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তার দায়িত্ব ও অনুষ্ঠানে আপনাদের ভূমিকা আজ সর্বজন স্বীকৃত ও প্রশংসিত।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, তুফান সবকিছু উপেক্ষা করেও আপনারা দায়িত্ব পালনে অটল থাকেন। আপনাদের এই একনিষ্ঠ কর্তব্য পালন আমাকে মুগ্ধ করে, গর্বিত করে। সেই সঙ্গে আপনাদের কাজের দক্ষতা, কর্তব্যপরায়ণতা ও একাগ্রতা প্রমাণ করে। এ জন্য আপনাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ’ উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করে পিজিআর। ১৯৭৫ সালের ৫ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই রেজিমেন্ট গঠন করেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় রেজিমেন্ট সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো, ভাতা বাড়ানো, আবাসন সমস্যার সমাধানসহ বিভিন্ন কাজের কথা তুলে ধরেন। গার্ড সদস্যদের দক্ষতা ও উত্কর্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণের ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।

 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন, ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা সচিব আক্তার হোসেন ভুঁইয়া ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর