শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


সৌদি আরবে নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

শাহনূর শাহীন: পুলিশের কাজ হলো যে কোনো অপরাধ কর্মকান্ডের তৎপরতা বন্ধে সজাগ দৃষ্টি রাখা। অপরাধ নির্মুলে অপরাধীদের গ্রেফতার  করে শাস্তির আওতায় আনা এবং যে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা দূরীকরণে কাজ করে  যাওয়াই পুলিশের প্রধান কর্তব্য।

অপরাধ র্নিমুল, অপরাধী শনাক্ত-গ্রেফতারের পাশাপাশি শাস্তিযোগ্য নয় এমন কিছু নৈতিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ যদি হয় উপদেশদাতা এবং নৈতিক বিষয়ে সতর্ককারী ও উৎসাহ প্রদানকারী তাহলে বিষয়টি কেমন  হয়। এমন অভিনব ও মজার পদ্ধতিই চালু হয়েছে সৌদি আরবে।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়মিত পুলিশ বিভাগের বাইরে নতুন করে নামানো হয়েছে নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ। তাদের কাজই হলো রাস্তাঘাটে কোনো যুবক যুবতীদের অনৈতিক কোনো কর্মকান্ড চোখে পড়লে তাদেরকে নৈতিক উপদেশ প্রদান করা।

এর আগেও সৌদি আরবে নৈতিকতা পুলিশ ছিল বিভিন্ন কারণে তাদের উঠিয়ে দেয়ো হয়। সম্প্রতি রাজধানী রিয়াদে পুনরায় নৈতিকতা পুলিশ নামানো হয়েছে।

সৌদি বাদশাহর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমান যুবরাজ মনোনীত হওয়ার পর সৌদিতে নৈতিকতা রক্ষা পুলিশকে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি পুনরায় বিবেচনা করা হয়।

যুবরাজ হওয়ার আগেই মোহাম্মদ সৌদি ‘ভিশন-২০৩০’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেন। যার মাধ্যমে তিনি সৌদি আরবের অর্থনীতিকে আধুনিক করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ভিশনের একটি প্রস্তাবনায় বিদেশি কর্মী ছাঁটাই করে সেখানে দেশি কর্মহীন যুবকদের নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। নৈতিকতা পুলিশ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও বেকারত্ব দূরীকরণের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচিত হয়েছে।

বলা হয় নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ উঠিয়ে দেয়ার পর অনেক যুবক বেকার হয়ে পড়ে। তাই পুনরায় নৈতিকতা পুলিশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে এতে করে নৈতিকতা পুলিশে চাকরি প্রদানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর হবে।

অনেক সৌদি নাগরিকও চান, এই পুলিশ ফিরে আসুক। তাঁদের দাবি, নৈতিকতা পুলিশ  তুলে দেওয়ার পর অনৈতিক কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে।

মোহাম্মদ আল সুবাই (২৭) নামের এক সৌদি নাগরিক বলেন, ‘অধিকাংশ মানুষই চান, নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ ফিরে আসুক। কারণ এখানে একটা বিশৃঙ্খল অবস্থা চলছে।’ এটা দূরীকরণে নৈতিকতা পুলিশের প্রয়োজন।

তবে কেউ কেউ ভিন্নমতও পোষণ করেছেন, উম্মে জিয়াদ নামের ৪০ বছর বয়সী এক নারী বলেন, পুলিশের ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধ করা উচিত। তারা যদি সীমা অতিক্রম করে তবে তাদের সমর্থন করতে পারব না।মাঝেমধ্যে তাদের বাড়াবাড়ি সীমা ছাড়িয়ে যায়। এটা পরহিার করতে হবে।

সব মিলিয়ে সৌদি নাগরিকরা নৈতিকতা রক্ষা পুলিশ ফিরিয়ে আনার বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ