বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৮ রমজান ১৪৪৫


পাস হওয়া বাজেট ‘প্রতিক্রিয়াশীল’: রিজভী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের (২০১৭-১৮) পাস হওয়া বাজেটের সমালোচনা করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি এ বাজেটকে 'প্রতিক্রিয়াশীল' এবং 'ভ্যাট আইন' দুই বছর স্থগিত করাকে 'অশুভ ভবিষ্যতের ইঙ্গিতবাহী' বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'মূলত লুটপাটের জন্যই জাতীয় সংসদে বিশাল ঘাটতির বাজেট পাস করা হয়েছে। গণবিরোধী এ বাজেটে উন্নয়ন খাতে যে ব্যয় ধরা হয়েছে তার বেশিরভাগই লুটপাট হবে।' বিএনপি এই 'প্রতিক্রিয়াশীল বাজেটের' তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রিজভী বলেন,  'এই আইন (ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইন) দুই বছরের জন্য স্থগিত করা অশুভ ভবিষ্যতের ইঙ্গিতবাহী। সংসদে প্রস্তাবিত যে বাজেট পাস হলো সেটি গণবিরোধী, উদ্ভটতামাশা, জীবনযাত্রার মানকে নিম্নমুখীকরা, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিসহ মানব উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা, জনগণের পকেট কাটার বাজেট।'

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পাস

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট পাসের পর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রতিক্রিয়ায় রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট বৃহস্পতিবার সকালে সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়। আগামী ১ জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে। গত ১ জুন সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

 

ভিক্ষার অনুদান ও পরনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সংসদে যে বক্তব্য রেখেছেন তাকে 'ভাওতাবাজি' বলে দাবি করেন রিজভী। তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী গতকাল (বুধবার) সংসদে বলেছেন ভিক্ষা অনুদানের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে তারা বেরিয়ে এসেছেন। তারা নাকি নিজস্ব আর্থিক ক্ষমতা নির্মাণ করেছেন। অথচ এবারই বাজেটের ঘাটতি মোকাবেলায় বিদেশি ঋণ ৪৫ হাজার ৪২০ কোটি টাকা আর অনুদান হিসেবে ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে বলে বাজেটে বলা হয়েছে। এর প্রভাবে বিনিয়োগযোগ্য অর্থ হ্রাস পেতে পারে এবং সুদ পরিশোধের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। ফলে আর্থিক ব্যবস্থাপনা চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়বে। এতে প্রতীয়মান হয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল ভাওতাবাজি।'

সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, 'আজকেই অর্থমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে। যা সমস্ত অর্থনীতিকে বড় ধরনের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, হলমার্কসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কী সীমাহীন লুটপাট, সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা হাওয়ায় উড়ে গেল কর্পূরের মতো। এই যদি পরিস্থিতি হয়, তাহলে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বাজেটের ঘাটতি মেটানো কেমন হবে? সেটা হবে বন্যাপ্রবণ নদীরতীরে বালির বাঁধ নির্মাণের শামিল।'

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, কবির মুরাদ, দলের কেন্দ্রীয় নেতা বদরুজ্জামান খসরু, কামরুজ্জামান রতন, আবদুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী এবং এমএ মালেক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ