শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

পবিত্র রমজানের শেষ জুমআ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: আজ পবিত্র রমজানের শেষ শুক্রবার। রহমত বরকত নাজাতেরর মাস রমজানের শেষ শুক্রবার তথা রমজানের শেষ জুমআ কে বলা হয় জুমাতুল বিদা।

জুমাতুল বিদা’য় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হবে। দেশের সব মসজিদে জুমাতুল বিদা’র পবিত্র দিনে মুসল্লিদের ব্যাপক সমাগম ঘটবে।

বিভিন্ন কারণে জুমাতুল বিদা’র রয়েছে বিশেষ তাৎপর্য। এ দিনটিকে  আল-কুদস দিবসও বলা হয়। মূলত জুমাতুল বিদা’র মধ্য দিয়ে মাহে রমজানকে বিদায় সম্ভাষণ জানানো হয়। রমজানের বিদায়ী শুক্রবার মুসলমানদের জন্য অতি মূল্যবান।

সারা বছর সপ্তাহেরপ্রতিটি শুক্রবার এমনিতেই মর্যাদার দিন। এদিন বিশ্বের প্রতিটি মসজিদে ইসলামের বিধান অনুযায়ী জুমার নামাজআদায় করতে ব্যাপক সংখ্যক নামাজী এসে থাকেন। এ বিষয়ে পাক কোরআনে বলা হয়েছে “হে মুমিনগণ জুমারদিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয় বিক্রয় ত্যাগ কর। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়। যদি তোমরা উপলব্ধি কর”। (“সূরা আল জুময়া আয়াত–৯)।

জুমার দিনের ফজিলত সম্পর্কে রাসুর স. বলেছেন “সপ্তাহের সাতদিনের মধ্যে জুমার দিন সর্বাধিক মর্যাদাবানএবং নেতৃস্থানীয় দিন।” এই পুণ্যদিনে আমাদের আদি পিতা আদম আ.  কে সৃষ্টি করা হয়। এই দিনেই তিনি জান্নাতেপ্রবেশ করেন। এই দিনে তিনি পৃথিবীতে আগমন করেন এবং এই দিনেই তিনি ইন্তেকাল করেন। এদিনেই কিয়ামত সংঘটিত হবে।

এইপুণ্যময় দিনে একটি সময় রয়েছে, যখন আল্লাহর দরবারে বান্দার দোয়া কবুল হয় (মিশকাত)। এই সময়টি হলো জুমাতুল বিদা’র জুমার নামাজের দ্বিতীয় খুতবার সময় থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। তাই জুমাতুল বিদা প্রতিটিমুসলমানের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।

এই দিন নির্দিষ্ট সময়ে এবং রমজানের সারাটা মাস ইবাদত বন্দেগীরমাধ্যমে বিগত বছরের গুণাহসমূহ মাফ করে নেয়া প্রতিটি মুসলমানের জন্য সুবর্ণ সুযোগ।

এ সম্পর্কে রাসুলে করিম সা. বলেছেন, “যে মুসলমান রমজান মাস পেল কিন্তু সারা বছরের গুণাহ সমূহ মাফ করিয়ে নিতে পারল না, তারমতো হতভাগ্য আর নেই।’।

‘জুমাতুল বিদা’ মহিমান্বিত হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এই দিন আল–কুদস দিবস। আল্লাহর নবী দাউদ আ. এর পুত্র হযরত সুলাইমান আ. জেরুজালেম নগর প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহর মহিমা প্রচারে সেখানে পুনঃনির্মাণ করেন মুসলমানদের প্রথম কিবলা ‘মসজিদ আল আকসা’।

মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনারমসজিদে নববির পর মুসলমানদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হলো বাইতুল মোকাদ্দাস বা মসজিদ আল আকসা। উল্লেখ্য, রাসুলুল্লাহ সা. এর মিরাজের নৈশ ভ্রমণের (আল্লাহর দিদারে) প্রথম পর্ব সংঘটিত হয়েছিল মসজিদুল হারাম  থেকে মসজিদুল আল আকসা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ছিল মসজিদুল আল আকসা থেকে উর্ধ্বলোকে গমন।

জুমাতুল বিদা’র প্রার্থনা আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাকে ঐক্য, সংহতি, শান্তি ওকল্যাণের পথে পরিচালিত করুক। সবশেষে ঈদুল ফিতর সবার জীবনে নিয়ে আসুক সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ