শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম  ‘সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন’ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসানের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোকপ্রকাশ

বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে কাশ্মীরের ডেপুটি পুলিশ সুপার নিহত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ভারতে জম্মু-কাশ্মীরের ডেপুটি পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আয়ুব পন্ডিতকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের নওহাট্টার জামিয়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।

ওইসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পবিত্র লাইলাতুল কদরের রাতে প্রার্থনার জন্য ওই মসজিদে জড়ো হন স্থানীয় মুসল্লিরা। হঠাৎ এক ব্যক্তিকে মসজিদের বাইরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। তবে শেষ রাতের দিকে যখন প্রার্থনা শুরু হয়, সেসময় ওই ব্যক্তি মসজিদের ভিতরে ঢুকে ছবি তুলতে শুরু করেন। প্রার্থনা করতে আসা কয়েকজনের চোখে পড়ে যায় বিষয়টি। মসজিদের ভিতরের ছবি কেন তুলছেন? শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

অভিযোগ, এর পরেই গুলি ছুড়তে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। তার ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনজন। প্রথমে ভয় পেলেও, পরক্ষণেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মসজিদে আসা মানুষজন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এরপরই মসজিদ থেকে টেনে বের করে শুরু হয় গণধোলাই। তাকে বিবস্ত্র করে চলে ব্যাপক মারধর। পাথর দিয়ে থেতলে দেওয়া হয় তার মাথা। ঘটনার খবর পৌঁছতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তি জম্মু-কাশ্মীরের ডেপুটি পুলিশ সুপার মুহম্মদ আয়ুব পণ্ডিত। তিনি কাশ্মীরের খানইয়ারের বাসিন্দা।

এই ঘটনার পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা মসজিদের বাইরে সাধারণ পোশাকে কেন ঘোরাঘুরি করছিলেন? কেনই বা মসজিদের ভিতরের ছবি তুলছিলেন? এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, আয়ুবকে অনেকক্ষণ ধরে সন্দেহজনকভাবে মসজিদের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। প্রথমে বিষয়টাকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি কেউ। প্রার্থনার জন্য সকলেই তখন ব্যস্ত ছিলেন। প্রার্থনা চলাকালীন আয়ুব মসজিদে ঢুকে ছবি তুলতেই কয়েকজন প্রতিবাদ করেন। তখনই নাকি নিজের সার্ভিস রিভলভার থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন তিনি।

তবে পুলিশের বিশেষ সূত্রের দাবি, জামিয়া মসজিদে মাঝেমধ্যেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতেন আয়ুব। যারা প্রতিদিন মসজিদে আসতেন তাদের অনেকই আয়ুবকে চিনতেন। ওই দিনও মসজিদের নিরাপত্তার দায়িত্বেই ছিলেন ওই পুলিশ অফিসার। আরো দাবি করা হয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের সিকিউরিটি উইং-এর অফিসাররা সাধারণ পোশাক পরেই তাদের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু কেনো আয়ুব মসজিদের ভিতরের ছবি তুলছিলেন বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। সুত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।

এসএস/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ