মুফতি মুহাম্মাদ রাশিদুল হক
তাদের নানা বক্তৃতা বিবতি ও সাক্ষাতকারে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণে কাছে সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে সত্যে অবিচল বিশ্বাসী মানুষের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সংবাদ মাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, বর্তমানে দেশের শীর্ষ শ্রেণির বিজ্ঞ বিদগ্ধ ওলামায়ে কেরামও ইসলামি ঘরণার প্রচারমাধ্যমের প্রয়োজনীয়তা সত্যিকারার্থেই উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন।
অপেক্ষাকৃত স্বল্প সময়ে আওয়ারইসলাম২৪.কম জনগণের আশার জায়গাটা অনেকখানী স্পর্শ করতে সক্ষম হয়েছে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। পক্ষপাতদুষ্টতার উপরে থেকে সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের প্রত্যয় লক্ষ করা গেছে শুরু থেকেই। নতুন গড়ে ওঠা একটি প্রতিষ্ঠানের অসঙ্গতিগুলো পাঠক-শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় স্বল্পসময়েই কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
আওয়ার ইসলাম নামটির মধ্যে একটি গর্ববোধ উপলব্ধি করি আমি। নামটির মধ্যেই একটি নিজেস্বতা অনুভব করি। প্রিয় নবি সা. এর একটি মনোভাবের কথা মনে পড়ে যায় নামটির মধ্যে। একটি বিষয় ছাড়া তিনি কোনো কিছু নিয়ে গর্ব করেছেন বলে জানা নেই। আমরা বলি, আমার গাড়ি, আমার বাড়ি, আমার ইন্ডাষ্ট্রি, আমার প্রপার্টি। কিন্তু নবিজী সা. শুধু একটি জিনিস নিয়ে এমনটি বলেছেন। এটিই ছিলো তাঁর গর্বের ধন। ‘হাজিহি সাবিলি’; এটি আমার পথ। ইসলামের দাওয়াতের পথকে তিনি এভাবেই গর্বের বস্তুতে উন্নীত করেছেন।
ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণে আমরা আওয়ার ইসলামকে গর্বে জায়গায় উন্নীত অবস্থায় দেখতে চাই।
সংবাদমাধ্যমটির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে পক্ষপাতদুষ্টতার উর্ধ্বে থেকে ইখলাসের সাথে উলামায়ে কেরামের সাথে সুসম্পর্ক বাজায় রেখে ন্যয়নিষ্ঠতার পরিচয় দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানাই।
লেখক: মুহাদ্দিস, ইমাম, প্রবন্ধকার