শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


জাতীয় কবিকে নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র বরদাসত করা হবে না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

১৬ জুন শুক্রবার বিকাল ৪ টায় প্রফেসর আখতার ইমাম অডিটরিয়াম মিলনায়তনে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা, গরীবদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ, গুণীজন সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের উপদেষ্টা ও দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আহমেদ হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন।

প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. শফিউদ্দিন ভূইয়া, সংগঠনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলী রেজা খোকন, সাবেক ডেপুটি এটর্নী জেনারেল এস.এম আমিনুল ইসলাম সানু, বীরমুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হাছিবুর রহমান, ঢাকা মেট্রো পলিটন বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এড. মো. জাহেদুল ইসলাম, যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মো. আজহার আলীর কন্যা সাঈদা ফুরাতুন নাহার (ফুরাত)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আর. কে রিপন।

প্রধান অতিথি বিচারপতি আবদুস সালাম বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। প্রিয় কবির দৌহিত্র সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বিজিপির নেতৃবৃন্দ কাজী নজরুল ইসলামকে তাদের মত করে উপস্থাপন করছেন। তিনি পূর্ববাংলার সকল মুসলমানদেরকে তার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই সময় আমাদের চুপ করে বসে থাকার সময় নয়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম যে গজল রচনা করেছেন তা ইতিহাসে সারাজীবন মানুষ স্মরণ করবেন। তিনি ছিলেন সাম্যের কবি, বিদ্রোহী কবি, জনগণের কবি। তিনি মানুষের জন্য লিখেছেন। অথচ তাকে নিয়ে এখনো চক্রান্ত চলছে। তিনি আরো বলেন, রোজা আমাদেরকে খোদাভিরুতা অর্জন করতে শেখায়। আমরা আমাদের রুহুকে রোজার মাধ্যমে শুদ্ধ করতে পারি। আসুন রোজার এই আহ্বানকে সাড়া দিয়ে আমরা সকল অন্যায় ও অপকর্ম থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখি।

সভা শেষে দারিদ্র্যদের মাঝে ঈদবস্ত্র বিতরণ করেন এবং গুণীজনদের মাঝে স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়। এসময় মুক্তিযোদ্ধার কন্যা সাঈদা ফুরাতুন নাহার (ফুরাত) আক্ষেপ করে বলেন, আমার বাবা স্বাধীনতা যুদ্ধে হাত হারিয়েছে। তিনি যুদ্ধাহত হয়েও কারো কাছে ভিক্ষার হাত পাতেন নি। বরং আইন পেশায় নিয়োজিত থেকে আমাদেরকে বড় করে তুলেছেন। ১ বছর হল তিনি আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু তার শেষ ইচ্ছা ছিল যে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন সেই দেশের একজন গর্বিত সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া। তিনি সেই স্বীকৃতি পেয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারেননি। আমি তার সন্তান হিসেবে বাবার স্বীকৃতি চাই।

নজরুলকে হিন্দু প্রমাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে আরএসএস!


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ