শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


থেমিসোত্তর টক শো: কওমী মাদরাসার আলেমগণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাহবুবুর রাজ্জাক

ইসলাম যে মিডিয়ায় চির অপাংক্তেয় সে মিডিয়ায় এখন কিছু আলেম মুফতি নেতা ও বুদ্ধিজীবীকে যত্ম করে ডেকে নেয়া হচ্ছে। একজন গিয়ে বসছেন তিন চারজনের মোকাবেলায়।

কয়দিন আগে, একজন বিশাল বুদ্ধিজীবী একজন আলেমকে প্রশ্ন করলেন, মূর্তি ও ভাষ্কর্যের মধ্যে যে পার্থক্য আছে সেটা কি আপনার জানা আছে? মাওলানা সাহেব রেগে না গিয়ে বললেন, ঢাকা ও কলকাতার যে কোন বাংলা অভিধান খুলে আপনি দেখে নিতে পারেন কোন পার্থক্য আছে কিনা। আমি বললে তো সেটা ঠিক না-ও হতে পারে। অভিধানে তো মূর্তি ও ভাস্কর্য একই অর্থে লেখা হয়েছে।

একজন বুদ্ধিজীবী বললেন, কওমী মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না কেন? জবাবে মাওলানা সাহেব বললেন, বাংলাদেশের কোন্ আইনে আছে যে মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাইতে হবে? ১৯৭৮ সালের জাতীয় সঙ্গীত আইন কি আপনি ভাল করে পড়েছেন? যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না সে কারণেই মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। এটি ব্রিটিশ ও পাকিস্তানী আমলেও গাওয়া হয়নি।

কওমী মাদরাসায় কেমন লোক তৈরি হয়, তা' এসব বিতর্ক থেকে বেশ টের পাওয়া যায়। বিশাল বুদ্ধিজীবীদের সামনে আলেমদের মুখোমুখি বিতর্ক, আলোচনা, প্রশ্নোত্তরের দক্ষতা প্রশংসা করার মত নয় কি?

ফেসবুক টাইমলাইন থেকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ