শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


দেবীমূর্তি অপসারণে কোনো টালবাহানা বরদাশত করা হবে না: শীর্ষ উলামায়ে কেরাম

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : মূর্তি থাকবে মন্দিরে এদেশে শতাব্দীর পর শতাব্দী অসংখ্য মন্দিরে মূর্তি নিরাপদে আছে তথাপিও হঠাৎ করে নাস্তিক মুরতাদ গোষ্টি দেশকে অস্থিতিশীল করতেই সুপ্রীম কোর্টের সামনে দেবী মূর্তি বসিয়ে ইদুর-বিড়াল খেলা করছে। অনতিবিলম্বে সুপ্রীম কোর্টের এনেক্স ভবনের সামনে থেকে গ্রীক দেবীমূর্তি অপসারনসহ সকল ইসলাম বিরোধী কালা-কানুন বাতিল না করলে গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে ঈমানী ও নৈতিক অধিকার আদায় করাহবে ইনশাআল্লাহ।

আজ সকাল ১০টায় বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে উলামা-মাশায়েখ সম্মেলনে বক্তারা একথা বলেন।

মাওলানা আবু তাহের জিহাদীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন  ইসলামী ঐক্যজোট চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী।

লিখিত ঘোষণাপত্র পাঠ করেন মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী।

জনাব আলমগীর মহিউদ্দীন বলেন, বৃটিশরা মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করার জন্য মাদরাসা শিক্ষাকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছিল। তাই বর্তমানে মুসলিম উম্মার কুরআন-হাদীসের উপর গভীর চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। অন্যথায় ধর্মদ্রোহী প্রেতাত্মারা ইসলামকে সমূলে নিশ্চিহৃ করে দিবে।

মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, তুরস্কের কামাল পাশা সেক্যুলারিজম এবং স্বৈরাচারী রাজত্ব কামেয় করার পর দীর্ঘ সময় পরে আবার জনগণ তার আদর্শ ছুড়ে ফেলেছে। অতএব ইতিহাস থেকে সকলকে শিক্ষা নিতে হবে।

মাওলানা মহিউদ্দীর রব্বানী বলেন, গ্রীক দেবীমূর্তি হিন্দু প্রধান বিচারপতি বসিয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই তা সরাতে হবে।

ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, জঙ্গিবাদ সংন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতিমুক্তি সমাজ গড়তে হলে সকলকেই কুরআন সুন্নাহর আলোকে জীবন যাপনে অভ্যস্ত হতে হবে। সংবিধানে আল্লাহর প্রতি পূর্ণআস্থা ও বিশ্বাস পুন:স্থানপন। কুরআন বিরোধী নারীনীতি ও ধর্মহীন শিক্ষানীতি সংশোধন ও ইসলাম বিরোধী সকল কালা-কানুন বাতিল করতে সরকারের প্রতি আমরা জোর দাবী জানাাচ্ছি।

মূর্তি ধ্বংস করুন নতুবা আপনারা ধ্বংস হয়ে যাবেন: চরমোনাই পীর

মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ইসলামের বিরুদ্ধে তথ্য সন্ত্রাস করা হচ্ছে, জঙ্গি শব্দের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য ধর্মীয় মিডিয়া, ধর্মপ্রাণ আলেম সমাজ এবং লেখক, শিক্ষাবিদদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। জেনারেল শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

মুফতি ফজুল্লাহ বলেন, গ্রীক আইনানুযায়ী ঈসা আ. কে ফাঁসির রায় দেওয়া হয়েছিল। তাই গ্রীক দেবী আদর্শ বাংলাদেশের মুসলমানের বিচার ব্যবস্থার প্রাণ কেন্দ্র হাইকোর্টের সামনে এবং আশেপাশে কোথাও গ্রীক দেবীমূর্তি রাখার সুযোগ নেই।

মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী বলেন, প্রধান বিচারপতিকে এই সম্মেলন থেকে জানানো যাচ্ছে যতই টালবাহানা করেন না কেন তৌহীদি জনতার নিকট আপনার ষড়যন্ত্র উম্মোচন হয়ে গেছে।

সভাপতির বক্তব্য মাওলানা আবু তাহের জিহাদী বলেন, আমাদের দেশ থেকে ইসলাম ধ্বংস করার জন্য আমাদের কৃষ্টি কালচার আকিদা বিশ্বাসে আঘাত হানা হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবেলা করা হবে ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে অারও অংশগ্রহণ করেন, খেলাফতে রব্বানী বাংলাদেশের আমীর মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, ইসলামী জনতা ঐক্য পরিষদ মহাসচিব মাওলানা আজিজুর রহমান আজিজ, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদ মহাসচিব মুফতি ফয়জুল হক কাসেমী, টেকেরহাটের পীর সাহেব মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মীরের সরাই দরবার শরীফের পীর মাওলানা আব্দুল মোমেন নাসেরী, কুরআন সুন্নাহ গবেষণা পরিষদ আমীর মাওলানা ফখরুদ্দীন ও মহাসচিব মাওলানা নাসির উদ্দীন হেলালী,বেফাক জয়েন্ট সেক্রেটারী মুফতি এনামুল হক, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদ ঢাকা মহানগরী সভাপতি মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী শায়খুল হাদীস আল্লামা আব্দুল আহাদ সিলেট,অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, জাতীয় মুফাসিসর পরিষদ সভাপতি মাওলানা আমিরুল ইসলাম বেলালী, জাতীয় খতীব পরিষদ আমীর মুফতি মাসউদুর রহমান,অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম,মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা কামরুল ইসলাম, মুফতি মাওলানা শাখাওয়াত,শায়খুল হাদীস মাওলানা আবু তালহা, অধ্যাপক মাওলানা নুরুল আমীন,মুফতি আহমদ উল্লাহ আশরাফ, মুফতি মিজানুর রহমান, ড. এনামুল হক, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ মাদানী, মাওলানা হাবীবুর রহমান খান বি.বাড়িয়া, মুফতি শামসুল আলম, মুফতি কামরুজ্জামান রোকন, মাওলানা শফিক বিন বাহাউদ্দীন নরসিংদী, মাওলানা উবাায়দুল্লাহ বিন তাহের বি.বাড়িয়া, মাওলানা আতিকুল্লাহ বিন রফিক প্রমুখ।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ