শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


মূর্তি অপসারণের দাবিতে ইসলামী ঐক্যজোটের সংবাদ সম্মেলন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : আজ রবিবার বেলা ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি অপসারণের দাবিতে ইসলামী ঐক্যজোটের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে ইসলামী ঐক্যজোটের  নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে হাইকোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ এবং এ দাবির পক্ষে তাদের যুক্তি তুলে ধরেন। সাংবাদিক সম্মেলনে দলটির পক্ষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য তুলে ধরেন দলের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামি।

তারা বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সামনে ও জাতীয় ঈদগাহ্’র সীমানা ঘেঁষে গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। যা পশ্চিমা ঢং-এর চর্বিত চর্বণ । অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ১৯৩৫ সনে বিশ্বের একজন শ্রেষ্ঠতম আইনদাতা হিসেবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি সন্মান প্রদর্শন করেছে। অর্থ্যাৎ মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে নামাঙ্কিত)আছে Prophet Mohammed honored by US Supreme Court as  One of the greatest Lawgivers of the World in 1935 এই কথাটি ।

যারা মূর্তি রক্ষা করতে চায় তাদের হাশর মূর্তির সাথে হবে: আল্লামা ওলিপুরী

গ্রিক মূর্তিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলা হাস্যকর: হেফাজতে ইসলাম

অথচ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে থেমিস দেবীকে সম্মান প্রদর্শন করেছে। কল্পিত ন্যায় বিচারের দেবী বা ‘লেডি অব জাস্টিস’ থেমিসের মূর্তি বসানোর কারণে শুধু বিতর্ক ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।

তারা আরও বলেন, মুসলিম সংস্কৃতিতে হিরো কাল্ট বা বীরপূজার প্রচলন নেই। ইসলামে স্মৃতি ও সম্মান রক্ষিত হয় কর্মের মাধ্যমে। স্বয়ং আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীনের কোথাও কোনো ভাস্কর্য নেই। উপমহাদেশে মুহম্মদ বিন কাশেম থেকে শুরু করে কতো বীর রাষ্ট্রনায়ক তাঁদের কারো মূর্তি নির্মাণ করা হয়নি। তাদের চেয়ে স্মরণীয় ও বরণীয় মুসলিম জাহানে আর কে আছেন?

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্ট ভবন নির্মিত হয়েছে মুসলিম আর্টের নিদর্শন গম্ভুজ সদৃশ করে। আরও লক্ষ্যণীয় স্থাপনাগুলো মিনার সদৃশ মাথা উচুঁ করে দাঁড়ানো। মাথা উচু করে দাঁড়ানো ইসলামি ঐতিহ্যের বৈশিষ্ট।

কারণ এক আল্লাহ ছাড়া আর কারও কাছে মানুষ মাথা নত করবে না। শিল্প-সংস্কৃতির যে উপাদান তৌহিদের বা একত্ববাদের পরিপন্থী মুসলমানরা তা প্রত্যাখ্যান করেছে। অথচ সেই সুপ্রিম কোর্ট ভবনের সামনে থেমিস দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এই মূর্তি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং ঔপনিবেসিক মানসিকতার সাথে তুলনীয়। এর লক্ষ্য হচ্ছে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মন, মনন ও চিন্তার ক্ষেত্রে রূপান্তর ঘটানো।

সুপ্রিম কোর্টের সামনে ও জাতীয় ঈদগাহর সীমানা ঘেঁষে স্থাপিত গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপনের পর পরই ইসলামী ঐক্যজোট গণমিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে তা অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছে। থেমিস দেবীর মূর্তি অপসারণ দেশের জনসাধারণের প্রাণের দাবী। রাষ্ট্র ও সমাজের শৃঙ্খলা ও শান্তি নিশ্চিত করা এবং নাগরিকদের পারস্পরিক শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য থেমিস দেবীর মূর্তি অপসারণ অপরিহার্য। এই দাবীতে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ।

এ সময় ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ, হাসানাত আমিনীসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ