শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


জেনে নিন আম পাতার ঔষধি গুণ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ফল হিসেবে আম যতটা সুস্বাদু ততটাই পুষ্টিকর। তবে শুধু আম নয়, আম পাতাও নানা ধরণের ঔষধি গুণের অধিকারী। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে আম পাতার ঔষধি গুণের কথা। উজ্জ্বল, মাংসল এবং সূক্ষ্ম প্রান্তের আম পাতা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ। এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধে অত্যান্ত কার্যকর। আসুন জেনে নেই আম পাতার কিছু ঔষধি গুনাগুণের কথা।

১। পোড়া সারাতে
আম পাতার সাহায্যে পোড়া নিরাময় হতে পারে খুব দ্রুত। আম পাতার ছাই ত্বকের পোড়া অংশকে নিরাময় হতে সাহায্য করে। কিছু আম পাতা পুড়িয়ে ছাই করে নিন এবং এই ছাই আলতো করে পোড়া স্থানে ঘষুন।

২। গলা ব্যথা দূর করে
গলার ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে আম পাতা। কিছু আম পাতা পুড়তে দিন এবং এর থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া শ্বাসের সাথে গ্রহণ করুন। এতে আপনার গলা ব্যথার সমস্যা কমবে।

৩। রক্তচাপ কমায়
আম পাতায় রক্তচাপ কমানোর উপাদান আছে। হাইপারটেনশনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ রক্তনালীকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে আম পাতা। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন ১ কাপ আম পাতার চা পান করলে হাইপারটেনশন কমে।

৪। স্ট্রেস কমায়
যারা অস্থির ও উদ্বিগ্ন অনুভব করেন তারা এর থেকে মুক্তি পেতে পান করতে পারেন আম পাতার চা। ২/৩ কাপ আম পাতার চা পান করে দেখুন পার্থক্য বুঝতে পারবেন। এটি আপনার স্নায়ু তন্ত্রকে শিথিল হতে সাহায্য করবে এবং আপনি সতেজ অনুভব করবেন।

৫। কান ব্যথা কমায়
আপনি যদি কান ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে আম পাতার রস ব্যবহার করা হতে পারে সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিকার। আম পাতায় হালকা তাপ দিয়ে কানের ছিদ্রের উপর লাগান। এটি চমৎকারভাবে কাজ করবে।

৬।  কিডনির পাথর দূর করে
আম পাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন এবং পানির সাথে মিশিয়ে সকালে পান করুন। এর ফলে কিডনি পাথর খুব সহজেই শরীর থেকে বের হয়ে যাবে।

৭। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
আম পাতায় ট্যানিন এবং অ্যান্থোসায়ানিন থাকে যা ডায়াবেটিস নিরাময়ে সাহায্য করে। আম পাতার  চা ডায়াবেটিস এড়িয়ে চলতে এবং সংবহন সম্পর্কিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

৮। মৌখিক স্বাস্থ্য বজায় রাখা
আম পাতার সাহায্যে আপনার মুখের দুর্গন্ধ দূর করা যায় এবং অস্বাস্থ্যকর দাঁত ও মাড়ির সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।

৯। ইউরিক এসিডের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে
গেঁটে বাত নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকরী আম পাতা। কিছু কচি আম পাতা পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিন পাতার বর্ণ হলুদ হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। উপকারিতা পাওয়ার জন্য প্রতিদিন পান করুন এই পানীয়।

১০। শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা নিরাময় করে
আম পাতার চা পান করলে সকল ধরনের শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা সারতে এবং কমতে সাহায্য করে। যারা ঠান্ডা, ব্রংকাইটিস বা অ্যাজমায় ভুগছেন তারা এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন আম পাতা ফুটানো পানি পান করে।

সূত্র:  বোল্ড স্কাই

এসএস/


সম্পর্কিত খবর