বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১১ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
‘মানতিক; যুগের চাহিদার সাথে মিলে না’ এ ধরেণের কথা অযৌক্তিক: মুফতি হিফজুর রহমান দাওরায়ে হাদিসের ফলাফল নজরে সানীর আবেদনের সময় বাকি ৩ দিন  বৃষ্টি প্রার্থনায় জামিয়াতুল আবরার রাহমানিয়ায় ‘সালাতুল ইস্তিসকা’  আদায় হাসপাতালে সৌদি বাদশাহ সালমান সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত পাঠ্য তালিকার সাথে বেফাকের পাঠ্য তালিকার সম্পর্ক নেই: বেফাক সৈয়দপুরে তাপদাহে অতিষ্ঠ মানুষ, ‘হিটস্ট্রোকে’ ১ জনের মৃত্যু স্বর্ণের দাম আরও কমলো, ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান ইরান-পাকিস্তানের ঢাবিতে বৃষ্টির জন্য ‘সালাতুল ইসতিস্কা’র অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘বৃষ্টির জন্যে সালাত আদায় করলেই অবশ্যম্ভাবী বৃষ্টি চলে আসবে—বিষয়টা তা নয়’

ভারতে তিন তালাকের হার ০.৩ শতাংশ!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : ভারতে তিন-তালাকের বৈধতা নিয়ে যখন সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছে, সেসময় এক সমীক্ষা বলছে সেদেশের মুসলিম সমাজে তিন তালাক দিয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বাস্তবে একবারেই নামমাত্র , ১ শতাংশেরও কম।

সমীক্ষাটি করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ডিবেটস ইন ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিআরডিডিপি)। ১৬,৮৬০ জন মুসলিম পুরুষ এবং ৩৮১১ জন নারীর ওপর চালানো এই সমীক্ষাটি করা হয় এ বছর মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে।

সমীক্ষাটির নেতৃত্বে ছিলেন অর্থনীতিবিদ ড আবু সালেহ শরিফ, যিনি ২০০৬ সালে ভারতীয় মুসলিমদের অনগ্রসরতা এবং বঞ্চনা নিয়ে গঠিত 'সাচার কমিটি'র অন্যতম একজন সদস্য ছিলেন।

সমীক্ষায় ৩৩১ টি মুসলিম বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এগুলোর এক-চতুর্থাংশ ক্ষেত্রে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান (যেমন কাজি) জড়িত ছিল।

তবে সমীক্ষায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফলাফল হচ্ছে, ৩৩১টি ঘটনার মধ্যে কোনো সাক্ষীর উপস্থিতি ছাড়াই মুখে তিনবার তালাক উচ্চারণ করে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ছিল মাত্র ১টি অর্থাৎ ০.৩ শতাংশ।

ড শরিফ ভারতের ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেনে, "৩৩১ টি তালাক এবং খালাসের ঘটনায় তিন তালাকের ঘটনা ছিল মাত্র একটি। এটি অত্যন্ত জঘন্য কাজ, কিন্তু বাস্তবে এটি বলতে গেলে অনুপস্থিত।"

তিন তালাকের পর পুরুষদের একাধিক বিয়ের বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে ভারত

‘তিন তালাক’ ইস্যুটি অতিরঞ্জিত করে দেখানো হচ্ছে: সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী

তিনি বলেন, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করা হয়েছিল। তাদের অধিকাংশেরই কিছুটা শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে যেটা ভারতের গড় শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ড শরিফ বলেন, তিন তালাক নয় বরঞ্চ এই তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের পর নারীদের নিরাপত্তার বিষয়টিই মুখ্য। বিচ্ছেদের পর নারীদের ভবিষ্যতের দিকে যেন সমাজ নজর রাখে, তারা যেন ঝামেলা ছাড়াই আবার বিয়ে করতে পারে - এ বিষয়গুলো কে সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ বিবেচনায় নিতে হবে।

সূত্র : বিবিসি

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ