আওয়ার ইসলাম : আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনের রেখে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্কের ওপর গভীর নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে জোটের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন, বৈশ্বিক রাজনীতি ও নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তাদের বিশেষ আগ্রহ রয়েছে।
আগামী নির্বাচন ২০১৮ কিংবা ২০১৯ সালে যখনই হোক না কেন তা ২০১৩ সালের নির্বাচনের মতো হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) মধ্যাহ্নভোজ সভায় সোমবার এসব কথা বলেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।
সরকারে যুক্ত দুজন কমরেড হাজী ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে: মুফতি ফয়জুল্লাহ
আন্দোলনের জন্য জামাতের সাথে সম্পর্ক, রাষ্ট্রপরিচালনায় তাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকবে না
রাজধানীর মতিঝিলে চেম্বার ভবনে আয়োজিত সভায় দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন এমসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির।
বাংলাদেশের পোশাক খাতে সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির প্রশংসা করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, 'কারখানার অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও ভবনের কাঠামো সংস্কারে দৃশ্যমান অগ্রগতি স্বীকার করতেই হবে। তবে শ্রম অধিকার প্রশ্নে বাংলাদেশের অগ্রগতি এখনও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হয়নি।
শ্রমিক হয়রানির ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে গত ডিসেম্বরে আশুলিয়ার শ্রম অসন্তোষকে ঘিরে অনেক শ্রমিক হয়রানির শিকার হয়ে কাজ হারিয়েছেন। অর্থাৎ পোশাক খাতে সুশাসন পরিস্থিতি এখনও গ্রহণযোগ্য মান অর্জন করতে পারেনি।'
এ প্রসঙ্গে প্রধান তিনটি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেন মায়াদু। এগুলো হলো—এগুলো যথাক্রমে সামাজিক অনুশাসনের চ্যালেঞ্জ, সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ। তিনি বলেন, 'কমপ্যাক্টের আগামী বৈঠক বাংলাদেশের জন্য অ্যাসিড টেস্ট। ওই বৈঠকে ইইউতে জিএসপি (শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা) পর্যালোচনা হবে।'