ওমর ফারুক মজুমদার
কয়েকদিন আগের ঘটনা। গাজীপুরের শ্রীপুর থানার হযরত আলীর ৭ বছরের শিশু কন্যা আয়েশা। এলাকার এক বখাটে যুবকের দ্বারা ধর্ষিত হওয়ার পর মেয়েটির বাবা বখাটের পিতা, ইউপি মেম্বার ও থানার পুলিশের কাছে বিচার চেয়ে লাঞ্চিত হয়। দুঃখ-ক্ষোভে বাবা মেযে একসঙ্গে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনাটি অবশ্য তনু-মিতুর মতো আলোচিত হয়নি। গরিব হলে যা হয়। কিন্তু গরিবরাও মানুষ। দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের হত্যার প্ররোচনাকারীদের বিচার হওয়া উচিত। এ দাবী নিয়ে দুদিন আগে একটি স্টেট্যাস দেন তরুণ রাশিদুল আলম। লিখেন, আগামি শুক্রবার (৫ মে) সকাল ৯ টা থেকে ৯.৩০ পর্যন্ত আমি একজন নাগরিক ও একজন পিতা হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়াতে চাই, হযরত আলি আর আয়শার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে। যারা হযরত আলি আর আয়শা হত্যার বিচার চান আশা করি আপনাদেরও সাথে পাব।
স্টেট্যাসটি পড়ার পর আমিও ভেবেছিলাম, আমাদের মতো তিনিও হয়তো স্টেট্যাস দিয়ে বাসায় ঘুমিয়ে থাকবেন। কিন্তু ধারণা পাল্টে গেলো আজ, যখন দেখলাম যথাসময়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একাই দাঁড়িয়ে ‘মানববন্ধন’ করছেন তিনি। কবির ভাষায়- ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে... তবে একলা চলো রে..।
আশ্চর্য! কেউ আসলো কি আসলো না, এ নিয়ে ভাবার সময় নেই তাঁর। বিবেকের তাড়নায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানববন্ধনে দাঁড়িয়ে গেলো, জাতিকে জাগাতে জাগ্রত যুবক রাশিদুল আলম মোল্লা। একজন হাফেজ ও ঢাকা জজকোর্টের শিক্ষাণবিশ আইনজীবী।
সত্যি, জাগ্রত এ যুবককে সম্মান জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। তবুও হৃদয়ের গহীন থেকে জানাই “হাজার স্যালুট’ আর এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা।
যে স্ত্রীর ওপর ফেরেশতারা সারারাত অভিশাপ দেয়?
বিশ্বমানের আরবী ম্যাগাজিন প্রকাশ হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে!
এআর