শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৫ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিরোনাম :
শিক্ষক ও বাবুর্চি নিয়োগ দেবে রাজধানীর আল্লামা শামসুল হক রহ.মাদরাসা উপজেলা নির্বাচনে যাচ্ছে কি ইসলামি দলগুলো? পাঠ্যপুস্তকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে স্মার্ট জেনারেশন সৃষ্টি সম্ভব নয়: শিক্ষামন্ত্রী বিচ্ছিন্নভাবে দে‌শের স্বার্থ অর্জন করার সুযোগ নেই : সেনা প্রধান স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাশ করব : স্বাস্থ্যমন্ত্রী যাত্রাবাড়ীতে দুই বাসের মাঝে পড়ে ট্রাফিক কনস্টেবল আহত আ.লীগের মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা; অমান্য করলে ব্যবস্থা ফকিহুল মিল্লাত রহ. এর পরামর্শ -‘ফারেগিন কার সঙ্গে পরামর্শ করবে’ ঢাকায় চালু হলো চীনা ভিসা সেন্টার ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য পদ দেওয়া নিয়ে ভোট শুক্রবার

শ্রমিকদের অধিকার দিন! শিল্প না থাকলে কি দিয়ে খাবেন? প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সরকার যে হারে শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছে, পৃথিবীর অন্য কোনও দেশের সরকার এই হারে শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে পারেনি।’ সোমবার বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনাসভায় তিনি এসব বলেন।

 প্রধানমন্ত্রী বিলেন, ‘মে দিবসের যে সংগ্রামী চেতনা, সেই চেতনা মাথায় রেখেই দেশকে আমরা ধীরে ধীরে শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ হবে। ২১ সালে সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করব। দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ হবে, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’
শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শ্রমিকদের বেতন যে হারে বাড়িয়েছে, সেই হারে বিশ্বের অন্য কোনও দেশের সরকার শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে পারেনি।’ তিনি আরও বলেন,  ‘১৯৯৬ সালে এসে দেখলাম শ্রমিকরা মাত্র ৮শ থেকে ৯শ টাকা ন্যূনতম মজুরি পেত। তখনই আমরা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর ব্যবস্থা নেই। পরে শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো হয়েছে। কাজে ঢুকলেই তাদের বেতন প্রথমে ৩ হাজার, পরে ৫ হাজার ৩শ টাকায় আনা হয়েছে। এটা কেউ ভাবতে পারেনি। আমাদের সরকার যে হারে শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছে, পৃথিবীর অন্য কোনও দেশের সরকার এই হারে শ্রমিকদের বেতন বাড়াতে পারেনি।’
শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ট্রেনিং কাম ডরমেটরির ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তারা যেন ভালোভাবে বসবাস করতে পারে, কাজের পরিবেশ যেন তৈরি হয়, সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমিকদের জন্য কাজ করেছে। আমি শ্রমিকদের জন্য কাজ করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের অধিকার দিন! শিল্প যদি না থাকে, কী দিয়ে খাবেন? কী দিয়ে চলবেন? বিভিন্ন খাতে নিয়োজিত শ্রমিকের পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানি শ্রমিক রয়েছে, যাদের সুনির্দিষ্ট চাকরি নেই। তাদের কল্যাণের দিকটাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। তাদের জন্য কল্যাণমুখী কিছু করার পদক্ষেপ নেব।’

কল-কারখানার মধ্যস্বত্বভোগীদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের দেশে যারা শ্রম দেবে, যারা উৎপাদনে সহায়ক, তারা ভালো থাকুক। তাদের ভালো-মন্দ দেখার দায়িত্ব সরকার হিসেবে আমাদের আছে। কিন্তু আমি জানি না, কেথা থেকে যেন কিছু শ্রমিক নেতা জুটে যায়। তারা কোথাকার শ্রমিক, জানি না। কিন্তু তারা নেতা হয়ে যায়। দেশে খবর নাই, তারা বিদেশে খবর পাঠাতে থাকে। তারা কি ভাড়া খাটেন? এদের উস্কানিতে কেউ যদি কিছু করেন, চাকরি হারান, তখন কি তারা খাবার দিতে আসে? আহত হলে সাহায্য করে? করে না।’

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ