রিফাত হাসান
লেখক, সাংবাদিক
ভয় অনেকভাবে প্রকাশ পায়। এই ভয় থিকা মুক্তি নেই। একটা লিঙ্ক থেকে একাত্তর জার্নাল দেখছিলাম, ওরা সদ্য বিখ্যাত কাসেম বিন আবু বাকারকে হাজির করেছে। জনৈক রবীন আহসান, ভদ্রলোকের প্রগতিশীল প্রকাশক পরিচয় দেওয়া হইছে, বারবার বলতেছেন এইটা একটা প্রজেক্ট।
এই যে এখন সমাজের সব ক্ষেত্রে ইসলামীকরণ, এইটা কাসেমের বোরখা পরা সেই মেয়েটি ইত্যাদি উপন্যাসের প্রভাবে হয়েছে। এই যে একটা বইয়ের লাখ লাখ কপি বিক্রি, এইটা প্রজেক্ট ছাড়া হতে পারে না।
সাংবাদিক শ্যামল দত্ত ছিলেন, উনি বললেন, এইটা কীভাবে সম্ভব। একজন উপন্যাসিক একটা সমাজ বদলে দিতে পারে?
উপস্থাপিকা জিজ্ঞাসিলেন, এই সমাজ বদলে লেখকের অবদান, এইটা কি ভাল হিশেবে বলছেন?
রবিন জানালেন, নাহ, এইটা খারাপই। ভাল হতে যাবে কেন? সমাজ মৌলবাদের দিকে ঝুঁকেছে। অনুষ্ঠানের শেষ দিকে কাসেম কিছু বলতে চাইলেন। উনারে ফ্লোর দেওয়া হল।
তিনি জানালেন, বোরখা পরা সেই মেয়েটি নামে তার কোন বই নেই। এইটা অন্য কারো লেখা। হা হাহ।
রবীন আহসান চুপ হয়া গেলেন। একজন লেখককে আনা হল, তার লেখার কোন মূল্যায়ন নেই, তার লেখারে স্রেফ ষড়যন্ত্র কইয়া সব আলোচক কথাবার্তা বললেন। তারপর আজগুবি সব বইয়ের নামও সেই লেখকের বইলা চালালেন। একটা অসভ্য ব্যাপার। আপনেরা সভ্য হবেন কবে?
পদক-পুরষ্কার নিয়ে আক্ষেপ নেই, আমি নাম যশ খ্যাতির জন্য লিখিনি’
আরআর