আওয়ার ইসলাম : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, কুফরী ও নাস্তিক্যবাদী শক্তিগুলো সরকারের প্রশ্রয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে উলঙ্গভাবে মাঠে নেমেছে। মাঈনুদ্দিন খান বাদলরা কওমী মাদরাসাগুলোকে সহ্য করতে না পেরে উলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করছে।
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে গরুর গোস্ত নিষিদ্ধকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশেও তার প্রভাব ফালানো হচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায় পহেলা বৈশাখে চারুকলা ইনস্টিটিউটে গরুর গোস্ত রান্নার কারণে মুসলিম বাবুর্চিকে মারধর ও চাকুরিচ্যুত করা এবং নারায়ণগঞ্জেও গরুর গোস্ত রান্নার কারণে মুসলমানকে গ্রেফতারের ঘটনা সে ইংগিতই দিচ্ছে।মনে হচ্ছে দেশ এখন দিল্লির প্রেসক্রিপশনেই চলছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে ইসলামবিরোধী গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করে মুসলমানদের ঈমান ও আমলের উপর কুঠারাঘাত করা হয়েছে।
কয়েকটি পত্রিকা হেফাজত নিয়ে কাল্পনিক সংবাদ প্রচার করছে: আল্লামা আহমদ শফী
ইসলামী আন্দোলনের নাটোর জেলা সভাপতি গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাও এ বিষয়ে উপেক্ষিত হচ্ছে। তিনি বলেন, মূর্তি একটি ইসলামবিরোধী বিষয়। তাই অবিলম্বে মূর্তি ভেঙ্গে দিতে হবে, এর কোন বিকল্প দেশবাসী মানবে না। মহাসচিব নওগাঁ জেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট আমেল খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে হয়রানীমুলক মামলা ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেছেন।
গতকাল বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা দক্ষিণের শ্যামপুর থানা শাখার উদ্যোগে রাজধানীর নিউ বিক্রমপুর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
থানা সভাপতি মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আলহাজ বেলাল হোসেন আরিফের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নগর দক্ষিণ সেক্রেটারী মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন, মুফতি মহিউদ্দিন হেলালী, মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ, মাওলানা আমীর হুসাইন, মুহাম্মদ আব্দুল বারেক, মুহাম্মদ সুমন হাওলাদার, মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ মিনারুল ইসলাম, মাওলানা আসাদুল্লাহ গালিব প্রমুখ।
-এআরকে