শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ।। ১৪ চৈত্র ১৪৩০ ।। ১৯ রমজান ১৪৪৫


আজ থেকে বেফাকের পরীক্ষার কাগজপত্র পৌঁছাবে : মুফতি আবু ইউসুফ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড-বেফাকের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে ৩০ এপ্রিল। চার স্তরের বেফাকের কেন্দ্রীয় অংশ নেবেন প্রায় লাক্ষাধিক শিক্ষার্থী। তবে কেন্দ্রগুলোতে এখনো পরীক্ষার কাগজপত্র না পৌঁছানোয় কিছুটা শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। তবে আজ শনিবার থেকেই সারাদেশের জোনগুলোতে পরীক্ষা বিষয়ক সব কাগজপত্র পৌঁছে যাচ্ছে বলে আওয়ার ইসলামকে নিশ্চিত করেছেন- বেফাকের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক মুফতি আবু ইউসুফ।

সারাদেশের মাদরাসাগুলোতে বেফাকের পরীক্ষারুটিন, পরীক্ষক তালিকা, ছাত্রদের প্রবেশপত্র, নেগরান তালিকা ইত্যাদি এখনো কেন পৌঁছেনি? এসব বিষয়ে জানতে শুক্রবার রাতে যোগাযোগ করা হয় দেশের সববৃহত কওমি মাদরাসা বোর্ড বেফাকের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক মুফতি আবু ইউসুফের সঙ্গে।

তিনি বলেন, একটা বিষয় সবাইকে মনে রাখতে হবে, বেফাকের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যথেষ্ঠ বৃদ্ধি পেয়েছে, একটা কাজের সঙ্গে আরেক কাজ সরাসরি কিংবা আংশিকযুক্ত। যৌক্তিক সমস্যা থাকার কারণেই এবার সামান্য দেরি হচ্ছে। তবে শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।

আওয়ার ইসলামকে তিনি  বলেন, এবারের প্রথম কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ ক্লাস দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা স্বীকৃতি বাস্তবায়ন কমিটি ‘আলহাইয়াতুল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনে হচ্ছে। এই যে দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষার সিদ্ধান্ত-পরীক্ষা নিজেরা নেব? না বাস্তবায়ন কমিটি নিবে? সেটার ওপর নির্ভর করে সব কাজ প্রায় আটকে ছিল। যখনই সিদ্ধান্ত হয়েছে আমাদের অফিসের সকল কর্মী কাজে ঝাপিয়ে পড়ে মুরব্বিদের নির্দেশ বাস্তবায়নের প্রাণপণ চেষ্টা করছেন।

সবাইকে অভয় দিয়ে তিনি আরও জানান, শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই আজ শনিবারসহ দু-এক দিনের মধ্যে সবার কাছে কাগজ পৌছে যাবে ইনশাআল্লাহ। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।

কাগজপত্র বিলম্ব হওয়ার যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে মুফতি আবু ইউসুফ জানান, দাওরারর রুটিন, হল পরীক্ষক, প্রশ্নপত্রের পরীক্ষক ইত্যাদি রদবদল করতে এবং চারস্তরের সঙ্গে সমন্বয় করতে যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। চার মাসের কাজ আমাদের অফিসের কর্মীরা দ্রুত শেষ করে আজ থেকে পৌঁছে দিচ্ছেন।
মাদরাসার প্রিন্সিপাল, শিক্ষাসচিব ও শিক্ষকগণ-মারকাজের সঙ্গে যোগাযোগ করারও আহ্বান জানান তিনি। সাময়িক যে কোন সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য বেফাকের কেন্দ্রীয় অফিসে তথ্যকেন্দ্র চালু করা হচ্ছে- যে কোন সমস্যার সমাধানে এই টিম কাজ করবে বলেও জানান তিনি। এছাড়ারও পরীক্ষা যথাযথভাবে হওয়ার জন্য তিনি সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

বেফাক ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মাওলানা অধ্যাপক যোবায়ের আহমদ চৌধুরীর সঙ্গেও কথা বলে জানা যায়, দাওরায়ে হাদিসের পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকায় বেফাকের নিয়মতান্ত্রিক পরীক্ষার কাগজপত্র প্রস্তুত হতে সময় লেগেছে। আশা করি বিষয়টি সবাই বুঝবেন ও সহযোগিতা করবেন।

কওমি মাদরাসায় যেসব বিষয় পড়ানো হয়

কওমির স্বীকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই, এটা আলেমদের দাবি ছিল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ