শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ।। ৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১১ শাওয়াল ১৪৪৫


খাবার অপচয় না করে ফুড ব্যাংকে জমা দিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : আরব শায়খদের বিলাসিতা ও অপচয়ের কথা বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। তাদের অপচয়ের তালিকায় খাদ্য রয়েছে সবার শীর্ষে। তাই এবার খাদ্যের অপচয় ঠেকাতে দুবাইয়ে ‘ফুড ব্যাংক’ প্রকল্প চালু হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাসিন্দারা ফুড ব্যাংক প্রকল্পের সাহায্যে সারা আরব জুড়ে খাদ্য দান কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন।

দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত ফুড ব্যাংক প্রকল্পের প্রথম ফুড ব্যাংক হিসেবে আল খাইল রোডের আলকুয়োজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মুহাম্মাদ বিন রশিদ আল মাকতুম, আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও দুবাইয়ের শাসক গত জানুয়ারি মাসে ঘোষণা দিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুড ব্যাংকের প্রকল্পটি দেশ ও বিদেশে খাদ্যের অপচয় হ্রাস এবং জনগণকে খাদ্য সরবরাহের লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।

দুবাই মিউনিসিপ্যালিটির মহাপরিচালক হুসেন নাসের লোতাহ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ফুড ব্যাংকটি চালু করেন। ব্যাংকে একটি সাইট অফিস এবং দুটি ফ্রিজ রয়েছে। সেখানে লোকজনের দান করা খাবার সংরক্ষণ করা যাবে।

অফিসে দুজন খাদ্য নিরাপত্তা পরিদর্শক দানকৃত খাদ্যের তদারকি করবেন। প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত দাতব্য সংস্থা এই খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করবে।

লোতাহ জানান, এ বছরের মধ্যে সংযুক্ত আরব অামিরাতে এ ধরনের ৩০টি ব্যাংক চালু হবে। তার মধ্যে পাঁচটি হবে দুবাইয়ে।

বড় বড় হোটেল, হাইপার মার্কেট, সুপারমার্কেটসহ অনেক প্রতিষ্ঠান খাদ্য দানের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তারা ফুড ব্যাংকের কাছে অ্যাকাউন্ট নম্বরও দিয়েছে।

দুবাইয়ের পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারিত খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি দানকরা খাদ্য যেন নিরাপদে বিতরণ করা যায় তা নিশ্চিত করার জন্য সকল অংশগ্রহণকারীকে অনুরোধ করা হয়েছে।

লোতাহর ধারণা, প্রকল্পটি খাদ্যের অপচয় হ্রাসের পাশাপাশি সারা বিশ্বজুড়ে দরিদ্রদের সেবা করবে। তিনি চান, খাবার অপচয় রোধ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দরিদ্র লোকজনের পাশাপাশি সোমালিয়ার মত দেশেও যেন সহায়তা করা যায়।

দুবাইয়ের এমিরেটস রেড ক্রিসেন্টের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আলহাজ্ব আল জারোনি বলেন, বিশ্বব্যাপী খাবারের অপচয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান চারে। খাবার অপচয়ে দেশটি সৌদি আরব, ইন্দোনেশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পরে অবস্থান করছে। প্রত্যেকে বছরে ১শ ৯৬ কেজি খাবার নষ্ট করে বলে জানান তিনি।

লোতাহ জানান, এর কার্যক্রম অনেকটাই ব্যাংকের মত হবে। কোনো দাতা অারও খাদ্য যোগ করার সময় তার হিসাব রাখা হবে। পরবর্তী সময়ে আমরা মূল্যায়ন করব কে সব থেকে বেশি খাবার দান করেছে। সে অনুযায়ী তাদের পুরস্কারও প্রদান করা হবে।

সূত্র : গলফ নিউজ

-এআরকে


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ