শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসানের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোকপ্রকাশ কাল ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় রোজায় বাজার সহনশীল রাখার চেষ্টা করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে বিএনপি মহাসচিবের শোক রাষ্ট্রপতি নির্বাচনসহ যেসব সুপারিশ সংস্কার কমিশনের বাংলাদেশিদের সুখবর দিলো ইতালি, পুনরায় ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনে কোনো সাফাই নয়: সারজিস মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে সিলেট মহানগর জমিয়তের শোক পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাবি পূরণে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের

মৃত এবং জীবিতরা যেখানে এক সঙ্গে বাস করে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: পৃথিবীর বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ধর্ম, বিশ্বাস, সংস্কৃতির ভিন্নতায় গড়ে উঠেছে বৈশ্বিক সংস্কৃতি। পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির সংস্কৃতির ভিন্নতায় থাকে  আশ্চার্য হওয়ার মতো  নানান উপাদান।

মানুষের মৃত্যু অবধারিত। মৃত্যুর পর মানুষের মৃত দেহের সৎকারেও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অঞ্চলভেদে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি এবং বিশ্বাস।

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এমনই একটি জাতি রয়েছে যাদের বিশ্বাস এবং শেষকৃত্য কর্মে অবাক না হয়ে পারা যায় না। সেখানে একজনের মৃত্যু হলেও, তার শেষকৃত্য হতে অনেক সময় লেগে যায়। মৃতদের নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও আলাদা। একটি ভিডিও তে দেখা যাচ্ছে বসার কক্ষে পরিবারের সদস্যরা বসে কফি খাচ্ছেন। সবাই খু্ব হাসিখুশি, আর এরই পাশের কক্ষের বিছানায় একজন শুয়ে আছেন। তিনি কোনো নড়াচড়া করছেন না। তার ধুসর বর্ণের মুখে ছোট ছোট অনেক দাগ, যেন পোকা মাকড় কামড় দিয়েছে। পিতার মৃতদেহের পাশে মামাক লিসা শরীরে অনেক কাপড় পেঁচানো।

বাড়ির ছোট মেয়ে মামাক লিসা বলছিলেন, " তার সম্পর্কে হৃদয়ের আবেগের খুব সম্পর্ক আছে। আমাদের সেই সম্পর্ক এখনো আছে"। অথচ এই ব্যক্তি মারা গেছেন ১২ বছর আগে। যদিও তার পরিবার মনে করে তিনি এখনো জীবিত কিন্তু একটু অসুস্থ। এই মৃত ব্যক্তি তার পরিবারের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রারই একটি অংশ।

ইন্দোনেশিয়ার তোরাজন এলাকার পুরনো প্রথার এটিও একটি, যেখানে মৃতরা জীবিতদের সাথেই বসবাস করে।কেউ মারা যাওয়ার অনেক মাস পর অনেক বছর পর শেষকৃত্য হয়। এ মধ্যবর্তী সময়ে নানা হারবাল ও রাসায়নিক দিয়ে মৃতদেহ সংরক্ষণ করে পরিবারের সঙ্গেই রাখা হয়। তাকে দিনে দুবার খাবার দেয়া হয়, এমনটি টয়লেটের জন্যও রুমে এক কোণে একটি পাত্র রাখা হয়।

তার কন্যা বলছিলেন , "এটা আমার দু:খবোধ কাটাতে অনেক সাহায্য করছে। আমার বাবা যে মারা গেছেন সে কষ্টের সাথে অভ্যস্ত হতে আমি সময় পাচ্ছি"।যখন চূড়ান্ত ভাবে মৃতদের বিদায় জানানো হয় তখন অনুষ্ঠান হয় অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ। আত্মীয়স্বজনরা আসেন। অনেক টাকা পয়সাও খরচ করা হয়।

আবার এ শেষকৃত্য কিন্তু চূড়ান্ত বিচ্ছেদ নয়। কয়েক বছর পর পর নানা উপলক্ষে কফিন খুলে মৃতদেহ বের করা হয়। বন্ধু আর আত্মীয়রা তাকে নানা খাবার দেন, পরিষ্কার করে একত্রে তার সাথে ছবিও তুলেন।

সমাজবিজ্ঞানী আন্দি তান্দি লোলো, "সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখলে এটি জীবিত ও মৃতদের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষার মতো ব্যাপার"।

তিন বছর আগে নিহত এক ব্যক্তির পুত্রবধূ বলছেন, যখন তাকে দেখতে পাই তখন মনে হয় তিনি আমাদের কত ভালোবাসতেন। তবে এ প্রাচীন প্রথাটি এখন ক্রমশ বিলুপ্তির পথে। বিবিসি অবলম্বনে।

[সাম্প্রদায়িক বামপন্থীরা অসাম্প্রদায়িক আলেমদের জনবিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায় : আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ]

[মৃত এবং জীবিতরা যেখানে এক সঙ্গে বাস করে]

এসএস


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ