সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ৭ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন নিয়ে ক্ষোভ, প্রতিবাদ জানালেন শায়খ আহমাদুল্লাহ বিবাহ একটি ইবাদত, এর পবিত্রতা রক্ষা করা জরুরি নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশে আলেম প্রজন্ম-২৪-এর আপত্তি  জুলাই-আগস্টের ত্যাগের পরও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ পাইনি: মির্জা ফখরুল নারীবিষয়ক সুপারিশগুলো কোরআন-হাদিসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন: জামায়াত আমির ‘১৬ বছরের জঞ্জাল দূর না করে নির্বাচন দিলে সমস্যা সমাধান হবে না’  প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা সরকারি নিবন্ধন পেল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘কলরব’ ‘সিরাহ মিউজিয়াম’ চালু করছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী মহাসমাবেশ সফল করতে যেসব কর্মসূচি নিয়েছে হেফাজত

পুরুষাঙ্গে ইট বেঁধে যুবককে শাস্তি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে পুরুষাঙ্গে ইটবেঁধে শাস্তি দেয়া হয়েছে বাগেরহাটের এক যুবককে। গ্রাম্য সালিশিতে ডেকে শরণখোলা উপজেলায় আলাউদ্দিন (৩৫) নামে ওই যুবককে এমন শাস্তি দেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

গত ৯ এপ্রিলের এ ঘটনায় সোমবার (১৭ এপ্রিল) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খানসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০ -২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শরণখোলা থানা পুলিশের এসআই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিকেলে এ মামলাটি করেন।

মামলার পরপরই শরণখোলার মধ্য বানিয়াখালী গ্রামের আ. রব হাওলাদের ছেলে রেজাউল করিম (২৫) ও পশ্চিম বানিয়াখালী গ্রামের আবু হানিফ মুন্সীর ছেলে নূর হাসান মুন্সী (২২) নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ফুলহাতা গ্রামের আলাউদ্দিন (৩৫) নামের ওই যুবকের সঙ্গে শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মধ্য বানিয়াখালী গ্রামের এক মেয়ের মুঠো ফোনে পরিচয় হয়।

এর সূত্র ধরে গত ৯ এপ্রিল আলাউদ্দিন ওই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু এলাকায় অপরিচিত হিসেবে ঘোরাফেরা করতে দেখে স্থানীয় কয়েক যুবক তাকে ধরে ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খানকে খবর দেন।

তাৎক্ষণিকভাবে ইউপি চেয়ারম্যান ওই এলাকায় গেলে তার কাছে স্থানীয়রা ওই যুবকের বিরুদ্ধে অসামাজিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ করে বিচার দাবি করেন।

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খান ওই এলাকার শহিদের চায়ের দোকানের সামনে প্রকাশ্যে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) ইসমাইল হোসেনকে দিয়ে আলাউদ্দিনের পুরুষাঙ্গে ইট বেঁধে দাঁড় করিয়ে রেখে বর্বর নির্যাতন চালান।

প্রায় আধাঘণ্টা পরে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মুক্তি মেলে আলাউদ্দিনের। পরে তাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে চেয়ারম্যানের সহযোগীরা।

ইউপি চেয়ারম্যানের এমন বিচারের দৃশ্য মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। ফেসবুক স্ট্যাটাসে ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। পরে এ ঘটনায় মামলায় হয়।

শরণখোলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল বলেন, বিচারের নামে এমন বর্বরতায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যানসহ আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনের নম্বর দুটি বন্ধ পাওয়া যায়।

৪ কারণে রাতে তরমুজ খাওয়া নিষেধ

সুপ্রিম কোর্ট থেকে ভাস্কর্য সরাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

আরআর


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ